১০ আসামিকে রিমান্ডে চায় সিআইডি

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস

| শুক্রবার , ১২ জুলাই, ২০২৪ at ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে দশজনকে পল্টন থানার মামলায় ১০ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়েছে সিআইডি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ( সিআইডির) অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার হাকিম আদালতে এই আবেদন করেন। খবর বিডিনিউজের।

ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী আগামী ১৬ জুলাই আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন বলে আদালত পুলিশের এসআই আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

ওই দশ আসামি হলেন, পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়ামুল হাসান, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম এবং পিএসসির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। একটি চক্র প্রায় এক যুগ ধরে পিএসসির অধীনে বিসিএসসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত বলে ছয়জনের ছবিসহ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রোববার প্রচারিত হয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে। এরপর সিআইডি তদন্তে নেমে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়।

ওই ১৭ জনের মধ্যে সাতজনকে মঙ্গলবার জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির করা হলে ছয়জন ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ওই ছয়জন হলেন, পিএসসির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী, ডেসপ্যাচ রাইডার খলিলুর রহমান, অফিস সহকারী সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন ও তার ভাই সায়েম হোসেন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটন সরকার। এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল শেষ মুহূর্তে এসে অস্বীকৃতি জানালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরও ৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
পরবর্তী নিবন্ধমতিউর পরিবারের আরও ৪ ফ্ল্যাট ও ২৪ একর জমি ক্রোক