১০৮ কোটি টাকার ফ্ল্যাট প্লট বুকিং

রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার সম্পন্ন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

স্বপ্নীল আবাসন সবুজ দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হওয়া চারদিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার সমাপ্ত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত ফেয়ারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী। এবার মেলায় ১০৮ কোটি টাকার ফ্ল্যাট, কমার্শিয়াল স্পেস ও প্লট বুকিং হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, রিহ্যাব ফেয়ার শুরু থেকে বিশেষ করে শুক্র, শনি ও রোববার প্রচুর ক্রেতাদর্শনার্থী এসেছেন। আজ (গতকাল) শেষ দিন সবচেয়ে বেশি ফ্ল্যাটপ্লট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে। গত তিন দিনও অনেক ক্রেতা বুকিং দিয়েছেন। আপনারা জানেন, করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। চলমান যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। আমরাও এর বাইরে নই। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমরা সেই পরিমাণে ফ্ল্যাটের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারিনি। এই পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা ক্রেতার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে তার পছন্দের ফ্ল্যাটটি দিতে চেষ্টা করেছি। এবারের রিহ্যাব ফেয়ারের ৪ দিনে সাড়ে ১০ হাজার ক্রেতাদর্শনার্থী এসেছেন। ফেয়ারে যে সকল অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের জন্য অফার নিয়ে এসেছেন, মেলা চলাকালীন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ফেয়ার শেষ হওয়ার পরেও আগামী ৭ দিন কোম্পানির নিজস্ব অফিসে সে সকল সুযোগ সুবিধা থাকবে। এবারের ফেয়ারে ফ্ল্যাট, কমার্শিয়াল স্পেস ও প্লট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫০ কোটি টাকা। ফেয়ারে ফ্ল্যাট, কমার্শিয়াল স্পেস ও প্লটের বুকিং হয়েছে ১০৮ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ১৫তম রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ারে গোল্ড স্পন্সর হিসেবে দুটি প্রতিষ্ঠান, কোস্পন্সর হিসেবে ১৭টি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৬টি এবং বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রতিষ্ঠান ৫টিসহ মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। ফেয়ারে গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেড ও আরএকে সিরামিকস্‌ বাংলাদেশ লিমিটেড। কোস্পন্সর হিসেবে ছিল সেনা কল্যাণ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড, ফিনলে প্রপার্টিজ লিমিটেড, এয়ারবেল ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড, এপিএল হোল্ডিংস লিমিটেড, সাইন ম্যাট্রিক্স বিল্ডার্স লিমিটেড, পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড, সাফ হোল্ডিংস লিমিটেড, সানমার প্রপার্টিজ লিমিটেড, সিএ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড, র‌্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেড, মুনতাসির লিভিং লিমিটেড, ইক্যুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, জুমাইরাহ হোল্ডিংস লিমিটেড, সিকিউর প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডি প্রোডাক্টস লিমিটেড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোট না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পরবর্তী নিবন্ধ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে কোনো গ্রুপিং দেখেননি তামিম