বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করা আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী তার নির্বাচনের আগে নগর উন্নয়ন ও পরিচালনায় ৩৭ দফা প্রতিশ্রুতির মধ্যে গুরুত্ব দিয়েছেন ১০০দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচিকে। নির্বাচিত হওয়ার পর গতকাল প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ১শ’ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়ে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন নবনির্বাচিত নগর পিতা রেজাউল করিম চৌধুরী।
মেয়রের ১শ’ দিনের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনায় প্রথমে মশার উপদ্রব রোধ করার কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে জরুরি ভিত্তিতে নগরীর রাস্তাঘাট সংস্কার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, যানজট নিরসন করার কথাও জানান নতুন মেয়র।
গতকাল সকালে নগরীর বহদ্দারহাটস্থ নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে নবনির্বাচিত মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী নগরবাসীকে মশার হাত থেকে রক্ষায় তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, মশার যন্ত্রণায় সকলেই অস্থির। আমাকে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মশার উৎপাতের কথা বলা হয়েছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণ করে জরুরি ভিত্তিতে মশার উৎপাত থেকে নগরবাসীকে মুক্ত করার চেষ্টা করবো। এছাড়াও নগরবাসীর আরেক যন্ত্রণার নাম যানজট। যানজটের কবলে পড়ে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠছেন। যানজট থেকে নগরবাসী মুক্তি চান। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর যানজট নিরসনকে গুরুত্ব দেবো।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় প্রথমেই হাত দেবেন বলে জানান নতুন নগরপিতা। পাশাপাশি রাস্তাঘাট সংস্কারের বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ১০০দিনের মধ্যে সব রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে জরুরি অগ্রাধিকার তালিকা রাখছেন বলে জানান। আওয়ামী লীগের এই মেয়র নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছিলেন চট্টগ্রামকে সর্বাধুনিক বাসোপযোগী বিশ্বমানের উন্নত ও নান্দনিক নগর হিসেবে গড়ে তোলা, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট নিরসন, সড়কে শৃক্সখলা ফিরিয়ে আনা, নালা-খাল-নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করাসহ দিয়েছিলেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ মোট ৩৭ দফা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি। তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারেও সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলেন ১০০ দিনের কর্মসূচি পরিকল্পনার বিষয়টি।
নগরীর সমস্যা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে রেজাউল বলেন, ‘নগরবাসীকে কথা দিতে পারি, প্রতিশ্রুতি পূরণে কঠোর পরিশ্রম করব। স্পষ্ট বলতে চাই, অন্যায়-অনৈতিক কাজে কখনো ক্ষমতাকে ব্যবহার করব না।’