চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ৫৬৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মডেল থানা ও নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন, নতুন আবাসিক হল নির্মাণ, হাসপাতাল আধুনিকায়নসহ মোট ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। সভায় শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় নেবে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি আহতদের তালিকা প্রণয়ন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মডেল থানা ও নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন এবং শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে পাঁচটি ছাত্র ও পাঁচটি ছাত্রী হল নির্মাণের উদ্যোগ, বিদ্যমান হল সংস্কার এবং শিক্ষার্থীরা যেসব কটেজে বসবাস করছে, সেসব মালিকদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিকায়ন করে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তর এবং দুইটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনাগুলো তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় নিজ উদ্যোগেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন ও টহল জোরদার রাখার অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত হয়।
সংঘর্ষে স্থানীয়দের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে তা পূরণের জন্য সরকারকে অনুরোধ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান, সিন্ডিকেট সদস্য সচিব ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হাশমত আলী।