ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘদিন। আইসিসি ট্রফি জিতিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপে। সেই যে শুরু বাংলাদেশের ক্রিকেটের দীপ্ত পথ চলা আজ তা পৌছে গেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখরে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রার অগ্রও নায়ক আকরাম খান। খেলা ছেড়ে যোগ দেন ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচক হিসেবে। এরপর প্রধান নির্বাচক। এরপর ঢুকলেন ক্রিকেট প্রশাসনে। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নির্বাচিত হলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচিত হলেন বিসিবির পরিচালক। আর এবারে আরো একবার বিসিবি পরিচালক নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক পুরন করলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই জীবন্ত কিংবদন্তী। টানা তৃতীয়বারের মত বিসিবির পরিচালক হলেন আকরাম খান। যদিও এখনো আনুষ্টানিক ঘোষনা হয়নি। তবে যেহেতু চট্টগ্রাম বিভাগীয় কোটার দুই পরিচালক পদের জন্য মাত্র দুজনই মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন সেহেতু বলা যায় সে দুজনই নির্বাচিত হচ্ছেন বিনা বাধায়। অপরজন আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন। তিনিও হ্যাটট্রিক করলেন।
গত দুই মেয়াদের আট বছরে আকরাম খান পালন করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল এগিয়েছে অনেকদুর। বাংলাদেশ জাতীয় দলের উন্নতির পাশাপাশি বাংলাদেশ ‘এ’ দল, এইচপি দল এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দল সহ সবক্ষেত্রে এগিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। যেখানে আকরাম খানের হাতের ছোঁয়া রয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রশাসনে তার দায়িত্ব তিনি বেশ দক্ষতার সাথে পরিচালনা করেছেন। নিজের জেলা চট্টগ্রামের ক্রিকেটকেও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আকরাম খান জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেট দল ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। আরো উন্নতি দেখছেন তিনি। আঞ্চলিক ক্রিকেট একাডেমি এবং আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রশাসনের পথেও এগিয়ে যাচ্ছে বিসিবি। করোনায় প্রায় দুই বছর চলে না গেলে এসব কার্যক্রমে হয়তো আরো গতি পেতো। তবে তৃতীয় মেয়াদের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করেই শুরু করতে চান আকরাম সবকিছু।
আকরাম খানের সাথে বিসিবির পরিচালক হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন আ.জ.ম. নাছির উদ্দিনও। ২০১৪ সালে পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর সহ সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও গতবারে সিনিয়র সহ সভাপতি এবং সভাপতি এই পদ দুটিতে নির্বাচন দেওয়া হয়নি। ফলে পুরো চার বছর সিনিয়র সহ সভাপতি এবং সহ সভাপতি ছাড়াই চলেছে বিসিবির কার্যক্রম। এবারের নির্বাচনে তিনিও বিনা বাধায় নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন। এখন দেখার বিষয় এদুজন চট্টগ্রামের ক্রিকেটের উন্নয়নে কি ভুমিকা রাখেন।