হালদায় মা মাছের প্রজনন মৌসুম সামনে। নদী থেকে আহরিত ডিম থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে রেণু ফোটানোর জন্য সরকার নদীর দুই পাড়ে ছয়টি হ্যাচারি স্থাপন করে দিয়েছে। প্রতিবছর রেণু ফোটানোর পর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে দশ মাস হ্যাচারিগুলো অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকে। এতে মৌসুমের পূর্বে বিদ্যুৎ লাইনসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার মেরামত করে রেণু উৎপাদনের উপযোগী করতে হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাটির কুয়া স্থাপনের পাশাপাশি মেরামত করা হয়েছে সরকারি হ্যাচারিগুলো।
গত বছরের ২২ মে হালদা নদীতে বিগত ১৪ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ ডিম পাওয়া যায়। এতে প্রস্তুতি ঘাটতি থাকায় সরকারি হ্যাচারিতে ডিম থেকে রেণু উৎপাদনকারীদের বেকায়দায় পড়তে হয়। রেণু ফোটানোর জন্য পর্যাপ্ত মাটির কুয়া না থাকায় অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। গত বছেেরর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার হ্যাচারিগুলো আগেভাগে উন্নয়ন, সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় মাটির কুয়াও স্থাপন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও মোহাম্মাদ রহুল আমিন জানান, এবার হালদা পাড়ের হ্যাচারিগুলোর সব ক্রটি সারানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা হয়েছে। যাতে ডিম ছাড়ার পর রেণু উৎপাদনে কোনো সমস্যা না হয়। হ্যাচারি ও মাটির কুয়া সবসময় তদারকিতে রাখা হয়েছে। এবার রেণু উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি জানান, এবার নদীতে যথাযথ তদারকি, অবৈধ জাল জব্দ, বালু উত্তোলন বন্ধ, নৌ পুলিশের টহল, সর্বোপরি পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ নদীতে অবমুক্ত করার কারণে ডিম ছাড়ার পরিমাণ গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।












