প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী থেকে আহরিত ডিম থেকে রেণু ফোটানোর কাজ চলছে। গত রোববার সকালে ও বিকালে নদীতে জোয়ার–ভাটার সময় ডিম ছাড়ে মা মাছ। ২০২০ সালের পর এবার সবচেয়ে বেশি ডিম ছেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা আশাতীত।
এদিকে বিপুল সংখ্যক ডিম থেকে রেণু ফোটানোর ব্যবস্থা নেই নদীর দুই পাড়ে। হালদা থেকে আহরিত ডিম থেকে রেণু ফোটানোর জন্য নদীর দুই পাড়ে ৫টি হ্যাচারি ও ৬৮টি মাটির কুয়া রয়েছে। সংগৃহীত ডিম থেকে রেণু ফোটানোর জন্য যে হ্যাচারি ও কুয়া রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে মদুনাঘাট ও শাহ মাদারী হ্যাচারিতে রেণু ফোটানোর জন্য মাত্রাতিরিক্ত ডিম দেওয়ায় বেশ কিছু ডিম নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
হ্যাচারিতে মাত্রাতিরিক্ত ডিম থেকে রেণু ফোটাতে গিয়ে বেশ কিছু ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিম সংগ্রহকারী মো. ইলিয়াস, আশু বড়ুয়া ও মো. রওসাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য অফিসার ফারহানা লাভলী বলেন, হ্যাচারিতে ধারণ ক্ষমতার অধিক ডিম রেণু ফোটানোর জন্য দিলে ডিম নষ্ট হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে এ ব্যাপারে আমাকে কেউ জানাইনি। খবর নিচ্ছি।
হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া কিছু ডিম নষ্ট হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এবার নদীতে বেশি ডিম পাওয়া গেছে। হ্যাচারিতে রেণু ফোটানোর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। রেণু ফোটানোর জন্য বেশি ডিম দেওয়ায় ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছিল ২৫ হাজার ৫শ ৩৬ কেজি। ২০২১ সালে ডিম ছেড়েছিল ৮ হাজার ৫শ কেজি। ২০২২ সালে তা ৬ হাজার কেজিতে নেমে আসে। এবার ডিম ছেড়েছে ১৮ থেকে ২০ হাজার কেজি।