হোম ম্যাচে নোয়াখালীকে হারিয়ে শুভ সূচনা চট্টগ্রামের

তারুণ্যের উৎসব জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বল ছিল প্রতিপক্ষের মাঠে। একের পর এক আক্রমণের মাধ্যমে তটস্থ করে রাখে প্রতিপক্ষ শিবিরকে। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা দলের সে সব আক্রমণ প্রতিহত হয়েছে হয় নোয়াখালী জেলা দলের গোল রক্ষকের হাতে নাহয় ক্রসবারে। তেমনই একটি গোল মিসের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১০ গোলে জয় নিয়ে তারুণ্যের উৎসব জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা দল। চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে নিজেদের হোম ম্যাচে নোয়াখালী জেলা দলকে ১০ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা দল। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচটি খেলবে চট্টগ্রাম। ম্যাচের স্কোর লাইন দেখে বুঝা যাবেনা ম্যাচের গতি প্রকৃতি।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে যায় স্বাগতিক চট্টগ্রাম জেলা দল। প্রথমার্ধের প্রায় পুরো সময়ে গুছালো আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের গোলমুখে বারংবার হানা দিয়েও জালের ঠিকানা খুজে পায়নি চট্টগ্রাম জেলা দলের স্ট্রাইকাররা। খেলার ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো চট্টগ্রাম। বঙের বাইরে বামপ্রান্ত থেকে আসিফের দুর্দান্ত শট নোয়াখালীর গোলরক্ষক মনিরুল কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন। এর ৫ মিনিট ব্যবধানে মিজানুর সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। ৪০ মিনিটে আবারো গোলবঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। সুন্দর আদানপ্রদানের মাধ্যমে বল নিয়ে আসিফ বক্সে ঢুকে শট নেয়ার মুহূর্তে নোয়াখালীর একজন ডিফেন্ডার অবৈধভাবে বাধা দিলেও রেফারি শরিফ আহমেদ পেনাল্টি এড়িয়ে যান। ফলে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি। যে কারনে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যেতে হয় চট্টগ্রামকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন চেহারায় আবির্ভুত হয় চট্টগ্রাম জেলা দল। একের পর এক আক্রমণে তটস্থ করে রাখে প্রতিপক্ষকে। এ অর্ধের প্রথম দিকে ডি বক্সের বাইরে থেকে আসিফের দুর্দান্ত শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। তবে আক্রমণের ধারা াব্যাহত রাখে চট্টগ্রাম। ৩৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো চট্টগ্রাম। তানভিরের সেন্টার থেকে বদলি সাকিবের হেড ঠেকিয়ে দেন নোয়াখালীর গোলরক্ষক। ৪২ মিনিটে আরো একবার বাধা হয়ে দাড়ায় ক্রসবার। এবার ডি বঙের বাইরে থেকে বদলি রিয়াদের দুর্দান্ত শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। পরের মুহূর্তে বদলি সুমনের তীব্র শট নোয়াখালীর গোলরক্ষক মনিরুল ঠেকিয়ে দেন। গোল মিসের হতাশায় পুড়তে থাকা চট্টগ্রাম যখন নিজেদের মাঠে পয়েন্ট হারানোর শংকায় ভুগছিল তখনই ত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ন হন আকতার। ম্যাচের প্রায় শেষ মিনি তখন। বামপ্রান্ত থেকে অধিানয়ক আলাউদ্দিনের শূন্যে ভাসানো ফ্রিকিকে গোলমুখের কাছ থেকে দুর্দান্তভাবে মাথা স্পর্শ করে আখতার জালের ঠিকানা খুঁজে নেন। () গোলে এহিগয়ে যায় স্বাগতিক চট্টগ্রাম। হতাশা ঝেড়ে উল্লাসে মাতে চট্টগ্রাম শিবির। অবশ্য পরের মিনিটেই সমতা ফেরাতে পারতো নোয়াখালী। কিন্তু চট্টগ্রামের গোল রক্ষক সাদ্দামের দৃঢ়তায় কোন বিপদ ঘটেনি। ফলে ১০ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন স্বাগতিক দলের একমাত্র গোলদাতা আকতার।

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে এ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, সিজেকেএস অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব আবদুল বারী, সিজেকেএস ক্লাব সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাদা আলম, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের নির্বাহি সদস্য আবু সৈয়দ মাহমুদ, মাহিমুদুর রহমান মাহবুব, সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সাইফুল আলম খান, জাফর ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত চৌধুরী পাবলু, সালাউদ্দিন জাহেদ, সিজেকেএস কাউন্সিলর আলি হাসান রাজু সহ কর্মকর্তাবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএশিয়া কাপে বাংলাদেশের ভাল সম্ভাবনা দেখছেন বিসিবি সভাপতি
পরবর্তী নিবন্ধএ কোন ‘পরীমনি’