কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের বর্জ্য সরাসরি চলে যাচ্ছে সাগরে। বছরের পর বছর ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছাড়াই হোটেলগুলো এতদিন কার্যক্রম চালিয়ে এলেও প্রথমবারের মতো এসব হোটেল কর্তৃপক্ষকে শুনানির জন্য নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মুফিদুল আলম জানান, কক্সবাজারে ৫৩৪টি হোটেলের ইটিপি ও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসব হোটেলের কর্তৃপক্ষকে শুনানির জন্যা নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়। তিনি বলেন, পর্যটন শহরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে হোটেল গড়া হচ্ছে, করছে জমজমাট ব্যবসা। কিন্তু মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সৈকতকে দূষণমুক্ত রাখতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক আরো বলেন, মঙ্গলবারের শুনানিতে কলাতলি মোড়ের হোটেল সি পার্ক ও লেগুনা বিচ রিসোর্ট নামের দুটি আবাসিক হোটেলকে ৫০ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ইটিপি স্থাপনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের পরিবেশবাদীরা শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের বর্জ্য সরাসরি সাগরে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসছেন। হোটেলগুলোর স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় মানববর্জ্যগুলো বিভিন্ন নালা, পুকুর, খাল হয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। ফলে আশঙ্কাজনক হারে বঙ্গোপসাগর দূষণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।