জগৎটা বৈষম্যে ভরা। এইসব বৈষম্য নানারকম প্রশ্নের সম্মুখীন করে আমাদের- ” ভাগ্য কিভাবে এরকম বিরূপ হতে পারে? ” নিজ সিদ্ধান্তে প্রত্যেকেই আপাতদৃষ্টিতে ভালো। না পাওয়া থেকেই তাই সকলেরই প্রশ্ন- “ঈশ্বর এত নির্দয় কেন?”
প্রকৃতপক্ষে এটাই জীবনের নীতি। যাতে করে মানুষ জীবনটাকে আরও উদার দৃষ্টিভঙ্গিতে উপলব্ধি করার সুযোগ পায়। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটা বিশ্বাস জন্মায় যে জীবন বুঝি শুধু আমাদের অস্তিত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমাদের নিত্য কাজকর্মগুলিকে বীজের সাথে তুলনা করা হলে জীবনের চাওয়া পাওয়া অনেকটা পরিপাটি হয়ে উঠে। যেমন বীজকে প্রাথমিকভাবে মাটিতে পোঁতা হয়। সময়ের সাথে সাথে সেই বীজ থেকে চারাগাছ তৈরি হয়। চারাগাছ ক্রমে বড় হয় ও ফল উৎপন্ন করে। মানবজীবনের অংশ পুরস্কার ও শাস্তি। যার প্রতি ক্ষণে জড়িয়ে থাকে অনাবিল সুখ ও দুঃখ। কিন্তু সত্যের আনন্দকে খুঁজে ফিরি প্রতিটি জীবে। হয় উদ্ভিদ নয় প্রাণির জীবনের অন্তরালে। একমাত্র বৈষম্য দূরীকরণের সচেষ্ট ইচ্ছাশক্তিই পারে আত্মতৃপ্তির মনোমুগ্ধকর মুহূর্তের আবেশ দিতে। যা বিকশিত হয় জ্ঞানের আলোকে। উচ্চ বিত্তের সাথে যেন ফারাক বেশি না হয়ে যায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের। মনুষ্যত্ব হারিয়ে আমরা প্রাণিতে না নিমজ্জিত হই।