রাত পেরিয়ে হলো যখন ভোর, আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুনি, আজানের ধ্বনি ভেসে বেড়ায় চারিদিকে, শীতল উষ্ণ মৃদু বাতাস যখন দোলায় বেলি ফুলের গাছ, তখন দূরপাল্লার ট্রেন এসে পৌঁছে আমার শহরে।
আমি ভাবি, যদি লিখতে পারতাম জীবনানন্দের মত কবিতা, তবে ফিরে যেতাম আমার গ্রামবাংলায়। অগ্রহায়নে নবান্নের উৎসবে মুখরিত গ্রাম, শীতের সকালে বাড়ির আঙিনার উনুনে মায়ের হাতে তৈরি নতুন চালের পায়েস, মামির হাতের তৈরি নানান রকম পিঠা। হেমন্তের সন্ধ্যায় মাঠে গানের আসর, পূর্ণিমার রাতে বেড়ার ঘরে যুবতীর নব প্রেম, জানালার ফাঁকে হারিকেনের আলোয় লেখা প্রেমিকের অসমাপ্ত চিঠির শেষ অংশ, বৌভাত। কৃষকের হাসিমাখা মুখে ভেসে ওঠে সুখ, মেয়ের বিয়ের আয়োজন। আহা যদি পারিতাম, আমিও বলিতাম বাসি কতো ভালো। বাংলার বুকে চিরচেনা সবুজে নবান্নের আলো।