হেরেও রাশিদ বললেন তাদের কেবলই শুরু

স্পোর্টস ডেস্ক

| শুক্রবার , ২৮ জুন, ২০২৪ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

যার হাত ধরে আফগানিস্তান দল এসেছে এই পর্যন্ত সেই দলটির কোচ জোনাথান ট্রট যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না তারা হেরে গেছেন। তাইতো তাকিয়ে আছেন শূন্যে। আফগানিস্তান কোচের চোখেমুখে রাজ্যের হতাশা। রাশিদ খানের চেহারাটাও দেখা যাচ্ছে না। হতাশায় মুখ ঢেকেছেন তিনি হাত দিয়ে। এরকম দৃশ্যই ফুটে উঠল টিভি পর্দায়। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মঞ্চে যদি এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে ব্যাটিং, দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দিনেই যদি সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যায় দল, এমন প্রতিক্রিয়াই স্বাভাবিক। তবে সেই হতাশা সাময়িক। আফগান ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় টুর্নামেন্ট তো সেমিফাইনালের ব্যর্থতায় আড়াল হতে পারে না। পেছন ফিরে তাকিয়ে তাই তৃপ্তির উপকরণ অনেক পেয়েছেন রাশিদ। আর পেয়েছেন ভবিষ্যতের পথচলার অনেক রসদ। আফগান অধিনায়ক প্রতয়ী কণ্ঠে শোনালেন, এবারের প্রাপ্তিকে সঙ্গী করে সামনের বিশ্বকাপগুলোয় আরও ভালো করবে তার দল। প্রথমবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলতে নেমে ভুলে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হয়েছে আফগানদের। ত্রিনিদাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে গিয়ে তারা ম্যাচ হেরেছে ৯ উইকেটে। এবারের আসরে প্রথম দুটি ম্যাচ এই মাঠেই খেলেছিল আফগানিস্তান। তবে সেমিফাইনালের আগে এখানে অনুশীলনের সুযোগ তারা পাননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার এইটের ম্যাচের পর নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগও তাদের ছিল না ততটা। ম্যাচের পর সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে ত্রিনিদাদে যেতে হয়েছে তাদের। ফ্লাইটে বিলম্বিত হয়েছে চার ঘণ্টা। ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনের কোনো সুযোগই ছিল না। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারার সেই কথা তুলে ধরলেন রাশিদ। সঙ্গে মেনে নিলেন নিজেদের ব্যর্থতাও। দল হিসেবে আমাদের জন্য কঠিন এক রাত। এর চেয়ে একটু ভালো করা আমাদের উচিত ছিল। যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম, কন্ডিশনের কারণে সেভাবে খেলতে পারিনি। তবে টিটোয়েন্টি ক্রিকেটই এরকম। যে কোনো কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হয়। তবে তারা যেভাবে বল করেছে, তা অসাধারণ। আমরা ভালো ব্যাট করতে পারিনি। ফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে সেমিফাইনালে উঠতে পারাও তো বিশাল এক অর্জন। মাত্র ২০ বছর আগে এশিয়ার আঞ্চলিক টুর্নামেন্টে খেলতে শুরু করেছে যে দেশ, ২০০৮ সালেও যারা ছিল আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড ডিভিশন ফাইভএ। যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশ নিজেদের মাঠে খেলার সুযোগ পায় না, তারাই সেমিফাইনালে খেলল আইসিসির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপে। বিদায় বেলায় সেই তৃপ্তি রাশিদের সঙ্গী। তিনি বলেণ আমরা অনেক উপভোগ করেছি। যেভাবে আমরা বড় দলগুলিকে হারিয়েছি এই টুর্নামেন্টে, আমাদের জন্য তা ছিল স্পেশাল। আমাদের জন্য এটা কেবলই শুরু। যে ধরনের আত্মবিশ্বাস ও ভরসা আমাদের দরকার ছিল, তা পেয়েছি। প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে পারলে এবং নিজেদের ওপর আস্থা রাখলে আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে ডিসি ফুটবল টুর্নামেন্টে মারুফ মডেল স্কুল চ্যাম্পিয়ন
পরবর্তী নিবন্ধফুটবলার সৃষ্টির কাজটা সম্মিলিতভাবে করতে চান শাহজাহান-স্বপন