প্রকৃতির পালা বদলে শুরু হল হেমন্তকাল। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ, এই দুই মাস হেমন্ত। আজ পহেলা কার্তিক। অর্থাৎ হেমন্তেরও প্রথমদিন। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে হাজির হল এ ঋতু।
অবশ্য গরম ও শীত এ দুয়ের মেলবন্ধন থাকে হেমন্তে। হেন্তের প্রথম দিকে ভোরে দেখা মেলে হালকা কুয়াশা এবং শিশিরে ভিজে থাকে ঘাস। তারপর সূর্যের তীব্রতাও যেন বাড়ে, অনুভূত হয় গরম। হেমন্তের শেষে আস্তে আস্তে জানান দেয় আসছে শীত। এ সময় খেজুরের রস সংগ্রহে প্রস্তুতি নেয় গাছিরাও।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসেও মিলেছে শীতের আভাস। দীর্ঘমেয়াদী তিন মাসের (অক্টোবর–ডিসেম্বর) পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সময়ের মাঝে দেশের উত্তর, উত্তর–পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১–২টি মৃদু (৮–১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৬–৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশে উত্তরাঞ্চল ও নদ–নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, চট্টগ্রামে আজ আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সে সাথে রাতের শেষ ভাগ থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এখন আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমবে। উত্তরাঞ্চলে অল্প অল্প ঠান্ডা পড়তে শুরুও করেছে। তবে ওই দিকটায় নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ভালো করে শীত পড়া শুরু করবে। এ বছর শীতের প্রকোপ বেশি থাকবে নাকি কম থাকবে– সেটা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে। তাই এখন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে ২৪ অক্টোবরের পর যদি সাগরে কোনো লঘুচাপ–নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে।