বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিবউল্লাহ বাবুনগরীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসায় গতকাল শুক্রবার এই সাক্ষাৎকালে তিনি হেফাজতে ইসলামের আমিরের স্বাস্থ্যের খবর নেন। সেখানে গেলে তাকে বাবুনগর মাদরাসার আলেম ওলামাগণসহ হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ তাকে অভ্যর্থনা জানান। হেফাজতে ইসলামের আমিরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করেন। দীর্ঘ আলাপ শেষে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্যও তিনি দোয়া চান। খবর বাসসের।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে হেফাজতে ইসলামের আমির বলেন, এদেশের আলেম ওলামারা কায়কোবাদ সাহেবকে খুব ভালবাসেন। কারণ তিনি সব সময়ই আলেম ওলামা, মাদ্রাসার সাথে সুসম্পর্ক রাখেন। তিনি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। সেখান থেকে কায়কোবাদ নানুপুর ওবায়দিয়া মাদ্রাসায় যান। সেখানে নানুপুর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল পীরে কামেল মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরীসহ মাদরাসা ও দরবারের হাজার হাজার ছাত্র শিক্ষক ও তৌহিদী জনতা তাকে স্বাগত জানান। তারপর তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহি দ্বীনি মারকায মেখল মাদরাসায় যান। বিশ্বব্যাপী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় হাটহাজারী মাদরাসায় গেলে মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা খলিল আহমদ ক্বুরাইশী, মাওলানা আনোয়ার শাহ আযহারী, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা আবদুস সবুরসহ সকল ওস্তাদগণ সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
এ সময় তিনি শীর্ষ দুই আলেমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনার সরকারের মিথ্যা মামলার খড়গ ও জীবনের হুমকি নিয়ে ১৩ বছর দেশান্তরী থেকে ফেরার পর সর্বপ্রথম আমার মায়ের কবর যিয়ারত করেছি। এরপরই দুই আকাবিরের কবর যিয়ারত ও শীর্ষ আলেমদের সাথে সাক্ষাতে চট্টগ্রাম সফরে এসেছি। আমার জন্য খাস করে দোয়া করবেন, যেন দেশ, জাতি, উম্মাহ ও দ্বীনের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারি। আলেম ওলামাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি (র.), আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার সাবেক আমির শহিদ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতীয়ে আজম ফয়জুল্লাহ, আল্লামা জমিরউদ্দীন নানুপুরী, আল্লামা সুলতান আহমদ নানুপুরী আল্লামা হারুনের কবর জেয়ারত করেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কায়কোবাদ আওয়ামী স্বৈরশাসকের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কবর জিয়ারত করেন। সফরসঙ্গী হিসাবে কায়কোবাদের সঙ্গে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ–প্রচার সম্পাদক মাওলানা গাজী মুহাম্মদ ইয়াকুব ওসমানীসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
