হেফাজতে ইসলামের নামে কোনো কমিটি করলে তা প্রত্যাখান করা হবে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শাহ আহম শফীর অনুসারীদের এমন ঘোষণার পাঁচদিনের মাথায় গতকাল ৩৮ সদস্যের হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমীর ও আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব করা হয়।
মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী ঢাকার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম খিলগাঁওয়ে গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটিতে আমির ও মহাসচিব ছাড়া নয়জনকে নায়েবে আমির, পাঁচজনকে যুগ্ম মহাসচিব, একজন সহকারী মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, সহ অর্থ সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, সহ-প্রচার সম্পাদক, দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক, সহকারী দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক এবং আট জনকে কার্যকরী কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
এছাড়া হেফাজতে ইসলামে নতুন কমিটির অন্যতম নেতাদের নিয়ে আরেকটি ‘খাস কমিটি (বিশেষ কমিটি)’ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, জুনাইদ বাবুনগরী, আতাউল্লাহ হাফেজ্জীসহ নয় জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খাস কমিটি ‘মজলিসে শুরা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। তারা হেফাজতের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের দুজন মুরব্বি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী জ্বরে আক্রান্ত এবং আমির জুনাইদ বাবুনগরীও অসুস্থ, যে কারণে উনারা আজকে উপস্থিত হতে পারেননি। উনারা আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) সালাম জানিয়েছেন।
কমিটিতে কারা আছেন :
কমিটির নয়জন নায়েবে আমীর হচ্ছেন- মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা মুহিব্বুল হক (সিলেট) ও মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব(বরিশাল), মাওলানা আবদুল হক (ময়মনসিংহ), মাওলানা ইয়াহইয়া (হাটহাজারী মাদরাসা), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (ফরিদাবাদ মাদরাসা), মাওলানা তাজুল ইসলাম ও মাওলানা মুফতী জসিমুদ্দীন (হাটহাজারী মাদরাসা)।
যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে নাম রয়েছে পাঁচ জনের। তারা হলেন- মাওলানা সাজেদুর রহমান (বি-বাড়িয়া), মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়নগঞ্জ), মাওলানা লোকমান হাকীম (চট্টগ্রাম), মাওলানা আনোয়ারুল করীম (যশোর) ও মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী।
সহকারী মহাসচিব হিসেবে আছেন মাওলানা জহুরুল ইসলাম ও মাওলানা ইউসুফ মাদানী। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মাওলানা মীর ইদ্রিস (চট্টগ্রাম), অর্থ সম্পাদক হিসেবে মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আলী (মেখল) ও সহ-অর্থ সম্পাদক হিসেবে আছেন মাওলানা মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী (নাজিরহাট)।
প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানীকে (সাভার) এবং সহ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে মাওলানা জামাল উদ্দীনকে (কুড়িগ্রাম)। দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আছেন মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী (উত্তরা) এবং সহকারী দাওয়া হিসেবে আছেন মাওলানা ওরম ফারুক (নোয়াখালী)।
এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে নয় জনকে। তারা হলেন- মাওলানা মোবারাকুল্লাহ (বি. বাড়িয়া), মাওলানা ফয়জুল্লাহ (মাদানীনগর), মাওলানা ফোরকানুল্লাহ খলিল (চট্টগ্রাম), মাওলানা মোশতাক আহমদ (খুলনা), মাওলানা রশিদ আহমদ (কিশোরগঞ্জ), মাওলানা আনাস (ভোলা), মাওলানা মাহমুদুল হাসান (ফতেহপুরী) এবং মাওলানা মাহমুদুল আলম (পঞ্চগড়)।