চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় হেফজখানার শিক্ষকের প্রহারে আব্দুল্লাহ আল মুহিদ (১৩) নামে এক ছাত্রের চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
রোববার (৯ জুন) এই ঘটনায় ছাত্রের মা রেনু আক্তার (৩০) বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হরিদাঘোনা এলাকার প্রবাসী জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।
একইদিন শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলা মুড়া এলাকার মৃত বশির আহমদের পুত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহত আব্দুল্লাহ আল মুহিদ উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের তানজিনুল মুমিন হিফজ মাদ্রাসা ও হেফজখানার ছাত্র। গত তিন মাস পূর্বে তাকে কোরআন শিক্ষার জন্য ওই হেফজখানায় ভর্তি করা হয়।
এরপর থেকে ওই শিক্ষক ছাত্র মুহিদকে প্রায় সময় ইচ্ছাকৃতভাবে মারধর করে আসছে। গত ২৬ মে সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে তার মা ছাত্র মুহিদকে কোরআন শিক্ষার জন্য হেফজখানায় দিয়ে আসেন। হেফজখানায় যাবার পর ওই ছাত্র সেখানে ঘুমানোর অভিযোগ এনে কোরআন শরীফ রাখার প্লাস্টিকের স্ট্যান্ড দিয়ে জোরে আঘাত করে শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এতে ছাত্রের ডান চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমপ্রাপ্ত হয়। এরপর বিষয়টি কাউকে জানালে বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ওই শিক্ষক প্রাণ নাশের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে ছাত্রের পরিবারকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার এসআই মাসুদ আলম জানান, আহত ছাত্রের মা থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে ওই হেফজখানার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাল সোমবার (১০ জুন) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।