জাতীয় দলের পর ঘরোয়া ক্রিকেটেও পারফরম্যান্সের নজীর রাখছেন তাওহিদ হৃদয়। অন্যদিকে মুশফিকুর রহিমও আছেন ফর্মের তুঙ্গে। তবে হৃদয়ের চমৎকার ইনিংসে ম্লান হয়ে গেছে মুশফিকের ইনিংস। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মুখোমুখি হয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ও শেখ জামাল।
বিকেএসপিএর তিন নম্বর মাঠের এই লড়াইয়ে প্রাইম ব্যাংকের মুশফিক খেলেন ৭৭ রানের ইনিংস। তারপরও দলকে জেতাতে পারেননি এই ব্যাটার। হৃদয়ের অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংসে শেখ জামাল জিতেছে ৭ উইকেটে। দল জিতলেও হৃদয়ের আক্ষেপ থাকার কথা। কারণ মাত্র ২ রানের জন্য যে সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিংয়ে ২৮ রান পায় প্রাইম ব্যাংক। ১৯ রান করে আউট হন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। আরেক ওপেনার শাহাদাত হোসেন করেন ৩৩ রান। ওয়ান ডাউনে নেমে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১৯ রানে ফিরে যান। তবে নাসির হোসেনকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান মুশফিক। নাসির ৩৪ রানে আউট হলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন মুশফিক। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক খেলেন ৭৭ রানের ইনিংস। ৭৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়। শেষ দিকে মেহেদী হাসানের অপরাজিত ৩০ রানে ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে প্রাইম ব্যাংক করতে পারে ২৪৪ রান। শেখ জামালের এবাদত হোসেন দারুণ বোলিং করেছেন। ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে তার শিকার ৪ উইকেট।
২৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৬.৪ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই জয় নিশ্চিত করে শেখ জামাল। ওপেনার সাইফ হাসান খেলেন ৭০ রানের ইনিংস। তার গড়ে দেওয়ার ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয় ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। হৃদয় ১১৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংস। অন্যদিকে সোহান ৫৯ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। প্রাইম ব্যাংকের তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ও করিম জানাত প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।