‘হৃদয়ের কাজে হৃদয়বান হউন’। অর্থাৎ নিজের হৃদয় এবং অন্যের হৃদয়ের কাজে যত্নবান হউন। প্রতি বছররই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়– বিশ্ব হার্ট দিবস। দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইউস হার্ট, নো হার্ট’। পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য বয়স এখন কোনো বিষয় নয়। তরুণ হতে বয়ঃবৃদ্ধ যে কারো হতে পারে।
যার অন্যতম প্রধান কারণ : তামাক, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, কায়িক শ্রমের অভাব ও মানসিক চাপ। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়। যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫.৩% তামাক ব্যবহার করছে– যা হৃদরোগ পরিস্থিতিকে আরও আতংকিত করে তুলছে।
খাদ্যের ভূমিকা : শর্করা অর্থাৎ আমাদের দেশের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো– শর্করা জাতীয় খাবার অর্থাৎ ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি, খৈ, নুডলস, কর্নফ্লেক্স, পাউরুটি, বিস্কুট কমাতে হবে। কারণ চাহিদার অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খেলে তা ক্ষতিকারক চর্বি অর্থাৎ ট্রাইগ্লিসারাইডে পরিণত হয়। যা পরবর্তীতে হৃদরোগে অন্যতম কারণ রক্তের চর্বি বেড়ে গেলে ওজন বাড়বে উচ্চরক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে সেই ক্ষেত্রে হৃদরোগের সম্ভাবনাও বাড়বে।
হৃদরোগের খাদ্য সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা : ১) ডিমের কুসুম খাওয়া যাবে না, ২) খাসী–গরুর মাংস খাওয়া যাবে না, ৩) দুধ খাওয়া যাবে না, ৪) ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে না। সব খাওয়া যাবে সেটার উপায় অর্থাৎ কী পদ্ধতিতে খেতে হবে তা জানতে হবে।
হৃদরোগ প্রতিরোধযোগ্য। আসুন হৃদয় দিয়ে হৃদয়ের যত্ন নেই।
লেখক : চট্টগ্রামের প্রথম ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ, কনসালট্যান্ট, ল্যাব এইড ও পার্ক ভিউ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড, চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন