পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাকৃতিক বন উজাড়ের পাশাপাশি বিদেশি প্রজাতির বৃক্ষের আগ্রাসনের কারণে পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। প্রাকৃতিক বন পুনরুজ্জীবিত করা গেলে বন পুনরায় জীববৈচিত্র্যের আঁধার হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশবাদীরা। বিশ্ব বন দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনায় বক্তারা বলেন, সেগুন, রাবার, আকাশিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির আগ্রাসনের কারণে প্রাকৃতিক বনের আয়তন কমে এসেছে। বন কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বননির্ভর জনগোষ্ঠী। পাহাড়ে প্রাকৃতিক বন পুনরুজ্জীবিত করা গেলে পাহাড়ি ঝিরি ঝরনায় পানি প্রবাহ বাড়বে। এসময় বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার চাকমা, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সমির মল্লিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক এইচএম প্রফুল্লসহ বন বিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জের কর্মকর্তা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে র্যালি বের করে বন অধিদপ্তর। এসময় বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধে বন আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা আহ্বান জানায় বক্তারা।