হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে কেনা হচ্ছে ৩০ মিটারগেজ ইঞ্জিন

দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়ন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

দেড় হাজার কোটি টাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে কেনা হচ্ছে আরও ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন। দোহাজারী থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী পর্যন্ত ৪৪ কিমি. মিটারগেজ (এমজি) রেলপথকে ডুয়েলগেজে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে এই ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে এই ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনা হচ্ছে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

অপরদিকে দোহাজারী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার প্রকল্পেও অর্থায়ন করেছিল এডিবি। এই প্রকল্পে নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। উদ্ধৃত্ত রয়ে গেছে ৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।

দোহাজারী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ ও ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন ক্রয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ফোকালপার্সন প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা আজাদীকে বলেন, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের পর ঢাকাচট্টগ্রামকক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সারাদেশের মানুষ এখন ট্রেনে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আসাযাওয়া করছেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচলের সুফল পেতে দোহাজারী থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার মিটারগেজ (এমজি) রেললাইনকে ডুয়েলগেজে উন্নীতকরণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। ১০ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মধ্যে ৪৪ কিলোমিটার রেল ট্র্যাক নির্মাণে অর্থায়ন করবে এডিবি। অপরদিকে দেড় হাজার কোটি টাকায় ৩০টি মিটারগেজ (লোকোমোটিভ) ক্রয়ে অর্থায়ন করবে দক্ষিণ কোরিয়া। এই দুটি মিলে একটি প্রকল্প (এডিবি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে দুটি মিলে)

দেড় হাজার কোটি টাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন ক্রয় করা হবে। এটা ফাইনাল স্টেজে আছে। রেল লাইন নির্মাণের অর্থায়নের বিষয়টি এডিবির সাথে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এখনো লোন এগ্রিমেন্ট হয়নি। তারা অর্থায়নে আগ্রহী হয়েছে। খুব শীঘ্রই লোন এগ্রিমেন্ট হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে গত ৩ বছর আগে ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনা হয়েছিল। কিন্তু ইঞ্জিনগুলো দেশে আনার ২ বছরের মধ্যেই সব খারাপ হয়ে গেছে। চুক্তি ভঙ্গ করে হুন্দাই রোটেম নিম্নমানের সব যন্ত্রাংশ দিয়ে ইঞ্জিন বানিয়েছিল। ফলে ইঞ্জিনগুলো ট্রায়াল রানেও মাঝপথে বন্ধ হয়েছিল। এই বিষয়টি তখন রেল অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। চুক্তি মোতাবেক ইঞ্জিন সরবরাহ না করে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ দিয়ে ইঞ্জিন সরবরাহ করায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা কর্তন করা হয়েছিল। তখনকার প্রকল্প পরিচালক নিম্নমানের ইঞ্জিনগুলো গ্রহণ করতে না চাইলে সাবেক দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীডিজিমেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপের ব্যবস্থাপক মিলে প্রকল্প পরিচালক বাদ দিয়ে ইঞ্জিনগুলো গ্রহণ করা হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষার্থীদের ৯ দাবি, চবি প্রশাসনের ৭ সদস্যের কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধতীব্র শীত আরো কয়েকদিন