ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল মোরশেদ চৌধুরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার মো.আরাফাত হোসেনের (২৭) জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৩০ মে) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের ভার্চুয়াল আদালতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মো.আরাফাত হোসেন নগরের বন্দর থানাধীন দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর মাইজপাড়ার মুন্সি মিয়াজির বাড়ির মৃত মো. সেলিমের ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদ চৌধুরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আরাফাত হোসেন নামে একজন আসামি মিস কেইস মূলে জামিন আবেদন করেন। আদালত আইনজীবী এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে জামিন নামঞ্জুর করেছেন।-বাংলানিউজ
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল মোরশেদ চৌধুরীর আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরিদর্শক কামরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ৪ মে দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার ভার্চুয়াল আদালত মো.আরফাত হোসেনের একদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ৩ মে তৎকালীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের পরিদর্শক মো.মঈনুর রহমান ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদ চৌধুরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় মো. আরাফাত হোসেনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার আসামি মো.পারভেজ ইকবালের যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম মো. আরাফাত হোসেন দেখাশোনা করতেন।
গত ৭ এপ্রিল পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকার নাহারভিলা থেকে বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ক্রমাগত মানসিক চাপ দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল মোরশেদ চৌধুরীকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর স্ত্রী ইশরাত জাহান চৌধুরী।
তিনি জানান, এটা আমার দৃষ্টিতে একটা মার্ডার। ফোর্স ডেথ। আমি আমার স্বামীর আত্মহননের নেপথ্যে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চাই। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে মোরশেদ লিখেছেন, ‘আর পারছি না। সত্যি আর নিতে পারছি না। প্রতিদিন একবার করে মরছি। কিছু লোকের অমানুষিক প্রেসার আমি আর নিতে পারছি না। প্লিজ, সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আমার জুমকে (মেয়ে) সবাই দেখে রেখো। আল্লাহ হাফেজ। ’
এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদের স্ত্রী ইশরাত জাহান চৌধুরী বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন।