নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের গণমাধ্যম বিষয়ক সমন্বয়কারী ইমতিয়াজ সেলিমকে ৩ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম শাহীন রেজা।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন সিটিটিসির সিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের সাইবার ইন্টেল টিমের পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম। আসামিকে নির্দোষ দাবি করে রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী ফয়সাল উদ্দিন সিদ্দিকী। উভয়পক্ষের শুনানি ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। শুক্রবার ভোরে শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সেলিমকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসা হিযবুত তাহরীর ফের আলোচনায় আসে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর। সরকার পতনের আন্দোলনেও তারা অংশ নিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিম। কিছুদিন আগে বিবিসি বাংলাদেশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সরকার পতন আন্দোলনে শুরু থেকেই তাদের কর্মীরা অংশ নেন। তবে তারা কোনো ব্যানার ব্যবহার করেননি।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনই ঢাকায় মিছিল করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এরপর আরও নানা দাবিতে মিছিলের পাশাপাশি ঢাকায় গোলটেবিল বৈঠকও করেছে সংগঠনটি। চট্টগ্রামেও পালন করেছে নানা কর্মসূচি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য দীপ্ত শপথ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর সেখানে হিযবুত তাহরীরের পোস্টারও লাগানো হয়েছিল।
গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করার কথাও জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে সরকারের তরফে কোনো বক্তব্য আসেনি। ২০০১ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে হিযবুত তাহরীর। এর নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএর একজন শিক্ষক। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর মাসে আওয়ামী লীগ সরকার প্রেসনোট জারি করে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।