পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের আমা দাবলাম চূড়ায় আরোহণ করেছেন পর্বতারোহী তানভীর আহমেদ শাওন। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়া তিনি স্পর্শ করেন। পর্বতারোহণ বিষয়ক ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স ক্লাবের’ অভিযান ব্যবস্থাপক ফরহান জামান এ তথ্য দিয়ে বলেন, ‘হিমালয়ের অন্যতম কঠিন চূড়া আমা দাবলাম জয়ী পঞ্চম গর্বিত বাংলাদেশি হলেন আমাদের তানভীর। ২০২২ সালে ডা. বাবর আলী এই জয়যাত্রা শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালে নিশাত মজুমদার ও কাউসার রুপক এবং চলতি মৌসুমেই তৌফিক আহমেদ তমাল এই দুর্দান্ত কীর্তি গড়েন।’ খবর বিডিনিউজের।
তরুণ পর্বতারোহী তানভীর ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স ক্লাবের অর্থ সম্পাদক। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্লাবটির ফেসবুক পেইজে লেখা হয়, ‘সামিট শেষে বিকালে নিরাপদে ক্যাম্প–২ এ নেমে এসেছেন তানভীর। তিনি সুস্থ আছেন। খাওয়া দাওয়া শেষে আজ সেখানেই বিশ্রাম নিচ্ছেন। রোববার (আজ) আবার শুরু হবে নেমে আসা।’ পুরো পথেই তানভীরের সঙ্গে ছিলেন পর্বতারোহী বন্ধু ও গাইড বীরে তামাং।
হিমালয় কন্যা নেপালের ৬ হাজার ৮১২ মিটার বা ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার এক সুন্দর ও কঠিন পর্বত হল আমা দাবলাম, যার অর্থ-‘মায়ের গলার হার’। এ পর্বত নেপালের গর্বের। এর খাড়া ও ঢালু দেয়ালের জন্য অনেকেই এ পর্বতকে ডাকেন ‘হিমালয়ের ম্যাটাহর্ন’ নামে। এই পর্বতের অনেকাংশে ৬০ থেকে ৯০ ডিগ্রি খাড়া পথ বেয়ে উঠতে হয় আরোহীকে। সেই আমা দাবলামের চূড়ায় উঠতে গত ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে নেপালের পথে যাত্রা করেন কিশোরগঞ্জের সন্তান তানভীর। তিনি ‘ভি এফ এশিয়া বাংলাদেশের’ সিনিয়র প্ল্যানার হিসেবে কর্মরত। পরদিন প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং অন্যান্য প্রস্তুতি শেষে ১৫ অক্টোবর পৌঁছে যান রামেছাপ বিমানবন্দরে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়াতে সেখান থেকে লুকলার নিয়মিত বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় দুই দিন আটকে থাকতে হয়। তানভীর পরদিনই সড়ক পথে যাত্রা করেন বেসক্যাম্পের উদ্দেশে। কিছু পথ গাড়িতে এবং বাকি পথ হেঁটে তিনি ২৪ অক্টোবর পৌঁছে যান আমা দাবলাম বেসক্যাম্পে।