মীরসরাই উপজেলার কৃষকদের টমেটো একটি হিমাগারের অভাবে তাপদাহ ও দরপতনে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। গাছে গাছে ঝুলছে পাকা টমেটো। কোথাও টমেটোর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। কিন্তু সেই টমেটো তুলতেও চাচ্ছে না কৃষকেরা। ফলে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টমেটো। শুধু টমেটোই নয়, অন্য সবজিরও চাহিদানুপাতিক দাম না পাওয়ায় ক্ষেতের মধ্যেই পচন ধরেছে। এমন চিত্র এখন মীরসরাই উপজেলার শত শত কৃষকের। কৃষকরা বলছেন, গরমের কারণে জমিতে পচে যাচ্ছে টমেটো। এ ছাড়া দরপতনের কারণেও টমেটো তুলতে আগ্রহ হারিয়েছেন তারা। এক মণ টমেটো বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায়, তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে বাজারজাত করতে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। তীব্র তাপদাহে কষ্ট সয়ে বাজারে আনলেও দাম খুবই কম এখন। তাই লোকসান গুনে হতাশ কৃষকরা।
আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক বেলাল উদ্দিন (৪২) বলেন জমিতে টমেটো, খিরা, কাঁচা মরিচ সবি লাগিয়েছিলাম। গত মাসেও মোটামুটি দাম পেয়েছি। গত দুই সপ্তাহের তাপদাহে জমিতেই টমেটো মরিচ গাছগুলো নেতিয়ে পড়েছে। বাজারেও কমদাম। এই গরমে রোদে পুড়ে বাজারেও নিচ্ছি না। খৈয়াছরার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম (৫২) বলেন, জমি থেকে বাজার পর্যন্ত নিতেও কেজি প্রতি ২০টাকা খরচ আছে। কিন্তু আমাদের টমেটো কেজি প্রতি ১০ টাকা দর চাইছে পাইকাররা। তাই এতো লোকসান দিয়ে আর পারছি না।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, এখন টমেটোর শেষ মৌসুম। তবু ও একটা কোল্ড স্টোরেজ থাকলে কৃষকরা টমোটোসহ তাদের ফসল সেখানে সংরক্ষণ করতে পারলে কদিন পরেই ভাল দাম পেত। এখন আর সেই উপায় নেই বলেই অনেক কৃষক জমিতেই টমেটো পচিয়ে ফেলছে। উপজেলার সোনাপাহাড়, করেরহাট, ওয়াহেদপুর, হাইতকান্দি, পূর্ব দুর্গাপুর, হিঙ্গুলীসহ বিভিন্ন এলাকার বরবটি, ঢেড়স, ঝিঙা, করলাসহ অন্যান্য সবজি ও গরমে ঝিমিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। টমেটোর পাশাপাশি অন্য সবজির দামও চাহিদানুযায়ী না পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশায় আছেন।