হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লংঘন ‘ওয়াচ’ করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এত কিছু ওয়াচ করে আর এখন পৃথিবীর সব টেলিভিশন যে এই বর্বরতা দেখাচ্ছে সেটা তাদের চোখে পড়েনি, কোনো বিবৃতিও তাদের নেই। গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ উত্তর মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
ফিলিস্তিনি জনতার ওপর অব্যাহত ইসরায়েলি বোমা হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো নীরব কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ফিলিস্তিনে যখন ইসরায়েল কর্তৃক মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নারী, শিশু এবং সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, তখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিশ্চুপ। এ ধরনের অপরাধের সময় যারা নিশ্চুপ থাকে এবং দেখতে পায় না, তাদের আসলে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার নৈতিক অধিকার থাকে কিনা, এটি একটি বড় প্রশ্ন। তিনি বলেন, পান থেকে চুন খসলেই অ্যামনেস্টি ইন্টারনেশনাল বিবৃতি দেয়, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে, শহীদুল হকের পক্ষেও বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু আজকে যখন ফিলিস্তিনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে তখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি আমরা দেখতে পাইনি। তাদের মিডিল-ইস্ট এবং নর্থ আফ্রিকার অঞ্চলের একজন উপ-পরিচালক একটি বার্তা সংস্থার সঙ্গে আলাপকালে কিছু কথা বলেছেন, কিন্তু তাদের অফিসিয়াল কোনো বিবৃতি নেই।
বিএনপি মহাসচিবের সামপ্রতিক মন্তব্য সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তো প্রতিদিনই এসব কথা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উপস্থাপন করেন। তার এই বক্তব্য সেটিই ধারাবাহিকতা ছাড়া আর অন্য কোনো কিছু নয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই কাজ করছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বিএনপি এবং তার মিত্ররা, তাদের পেট্রোলবোমা বাহিনী, সন্ত্রাসীরাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা মির্জা ফখরুল সাহেব মানতে পারছেন না বলেই হয়তো তিনি একথা বলেছেন।