একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ মানে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের নতুন অধ্যায়ের সূচনা, পাকিস্তানি শাসকরা ভেবেছিল রাজপথ লাল রক্তে ভিজিয়ে দিয়ে বিপ্লবীদের থামিয়ে দিতে পারবে কিন্তু তারা ভাবতে পারেনি বাঙালি জাতির বিপ্লব এখান থেকেই শুরু। তারা ভেবেছিল বন্দুকের নল দিয়ে আমাদের ভাষা শহীদদের বুক ঝাঁঝরা করে দিতে পারবে কিন্তু তাঁর ভেতরের আগুনের লেলিহান শিখা কে থামাতে পারবেনি । ১৯৫২ সালের অমর একুশের পর থেকে যে অনির্বাণ অগ্নিশিখা টি জ্বলেছিল তা দাউ দাউ করে দাবানলের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে, একুশের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বাঙালি জাতি দীক্ষিত হয়েছিল দেশমাতৃকা বিজয়ে, তাইতো আজ আমরা গর্ব করে বলি, একুশ আমাদের অহংকার,, একুশ আমাদের গৌরবের, এই অহংকার নিয়ে প্রতিটি বাঙালি জাতি প্রতিটি বাঙালি মানুষ এ দাঁড়াতে পারে বিশ্বের সামনে বিশ্বের দরবারে, পৃথিবীর একমাত্র আমরাই সে জাতি যার নিজস্ব মাতৃভাষা নিয়ে সোনালী অতীত আছে, পৃথিবীর আর কোন জাতি নিজের ভাষার জন্য জীবন দেয় নি আমরা সেই আবেগময় জাতি যে মায়ের ভাষার রক্ষা করার জন্য নিজের জীবন দিতে দ্বিধাবোধ করেনি। আজ একবিংশ শতাব্দিতে এসে আমাদের সকলের দায়িত্ব আগামী প্রজন্মের মাঝে চিন্তায় চেতনায় মগজের নিজের মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা নিজের দেশের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা শেখানো। তবেই তো আমাদের আগামী প্রজন্ম গড়ে উঠবে একজন দেশ প্রেমিক একজন ভাষা সৈনিক একজন সত্যিকার অর্থে বাঙালি।
আজ এই ভাষার মাসে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই…মায়ের ভাষায় কথা বলাতে /স্বাধীন আশায় পথ চলাতে, হাসিমুখে যারা দিয়ে গেলো প্রাণ /সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান, তাঁদের বিজয় স্মরণে। আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই- তাঁদের স্মৃতির চরণে। সালাম,সালাম হাজার সালাম।