দুর্নীতির ছয় মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ায় দুদক এই মামলাগুলো দায়ের করে। এতে তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও অভিযুক্ত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালত এই অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। মামলাগুলোতে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা–শেখ রেহানাসহ ১৭ জন, শেখ হাসিনা–আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৮ জন এবং শেখ হাসিনা–রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন বিশেষ জজ আদালত–৪ এর বিচারক রবিউল আলম। আগামী ১৩ আগস্ট এসব মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে, শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, শেখ হাসিনা–সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন এবং শেখ হাসিনা–পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন বিশেষ জজ আদালত–৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসব মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১১ আগস্ট। এর আগে ২০ জুলাই মামলাগুলোর আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কেউ হাজির না হওয়ায় মামলাগুলো বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলো চলতি বছরের ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে দায়ের করেন দুদকের উপ–পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
১২ জানুয়ারি প্রথম মামলায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরও দুইজন যুক্ত হলে চূড়ান্ত আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে। ১৩ জানুয়ারি আরও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। একটিতে শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৫ জন। আরেকটিতে আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জন এবং তৃতীয়টিতে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে প্রতিটি মামলায় আরও দুইজন করে আসামি যুক্ত হয়।