আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘গুম’ এবং জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিলের তথ্য দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বরাতে এ তথ্য দেন প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, পাসপোর্ট অফিস থেকে জানানো হয়েছে, যারা ‘গুম এবং হত্যার’ সঙ্গে জড়িত, তেমন ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এবং জুলাই কিলিংয়ের সাথে জড়িত বা জুলাই কিলিংয়ের জন্য অভিযুক্ত এই রকম ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের বিষয় ভারতকে জানানো হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, উনার যে পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, এটা কিন্তু ভারত সরকারও জানে এবং ভারত সরকার থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে যে, উনাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা হয়েছে। ৭৫ জনের মধ্যে অন্যরা কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাকিদের নামধাম আপাতত প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ অগাস্ট পালিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। আন্দোলন দমন করতে গিয়ে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের মন্ত্রী–এমপি ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গণহত্যা ও গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারের মুখোমুখি করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ইতোমধ্যে ভারতকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সেই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও ভারত সরকার এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।