এক দশক আগে ঢাকা থেকে উধাও হওয়ার পর বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের খোঁজ মিলেছিল ভারতের শিলংয়ে; সেই ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তরে এই অভিযোগ জমা দেন। খবর বিডিনিউজের।
শেখ হাসিনা ছাড়াও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলছেন, তাকে গুমের ঘটনার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে জড়িত।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ হাসিনাসহ গুম–খুনে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গুমের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম তার কাছ থেকে অভিযোগটি গ্রহণ করেন। বিএনপি আইন সম্পাদক কায়সার কামাল, নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, রুহুল কুদ্দুস কাজল, বদরুদ্দোজা বাদলসহ ২৫–৩০ জন আইনজীবী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন। তখন তিনি যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ওই বছরের ১১ মে মেঘালয়ের শিলংয়ের পুলিশ উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ভারতে প্রবেশ করলেও তার কোনো বৈধ কাগজপত্র সেসময় মেঘালয় পুলিশ না পাওয়ায় ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। পরে সেই মামলায় খালাস পেলেও পাসপোর্ট না থাকায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তাকে ভারতেই আটকে থাকতে হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গতবছরের ১১ আগস্ট ট্র্যাভেল পাস (ট্রাভেল পারমিট) নিয়ে ৯ বছর পর দেশে ফেরেন এই সাবেক এমপি।