বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে করা সকল চুক্তি প্রকাশ করতে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম–মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এখন জনগণের একটাই দাবি, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি করেছেন সেই চুক্তিগুলো অন্তর্র্বর্তী সরকার প্রকাশ করুক। তিনি দেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন তার প্রমাণ তো আমরা দেখতে পাই। খবর বাসসের।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বনানীতে জুলাই–আগস্টের গণ–আন্দোলনে চক্ষু হারানো, চক্ষু ক্ষতিগ্রস্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের চক্ষু সেবার উদ্দেশ্যে প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। সঙ্গী–সাথী ফেলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপিকে দমন নিপীড়নই ছিল শেখ হাসিনার নীতি। তার পরিণাম হয়েছে ভয়াবহ। নিজের সঙ্গী–সাথী ফেলে দিয়ে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শুধু নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব তিনি পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে জিম্মি করে দিয়েছিলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম–মহাসচিব বলেন, আদানি বলে ভারতের একটা কোম্পানি তার সাথে বিদ্যুতের অত্যন্ত অসম চুক্তি করেছে। আদানির কাছ থেকে কেনা এক ইউনিটের দাম ১২ টাকা, পৃথিবীর কোথাও এত দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কেনা হয় না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আদানির সাথে চুক্তি করেছিলেন একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তাকে যদি কখনো পালাতে হয় তাহলে আদানি তাকে অর্থায়ন করবে। জনগণের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা আদানির সাথে কোন চুক্তি করেননি। না হলে আদানি কেন হুমকি দিবে? শেখ হাসিনার কোনো দেশপ্রেম ছিল না। তার ছিল ভারত প্রেম।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মার্কেট ও বাজারগুলো এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের দখলে দাম কমানোর জন্য সরকার শুল্ক কমিয়েছে তারপরও কি দাম কমছে? কমছে না, কারণ সিন্ডিকেটবাজদের সরকার গ্রেপ্তার করতে পারেননি। এই বিষয়গুলো যদি সরকার না দেখেন পরাজিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই ভূত পেত্নীর মত আওয়াজ দেবে।