স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ফটিকছড়িতে বিএনপির উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বিকালে সরকারি কলেজ মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মীরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। প্রধান বক্তা ছিলেন– চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম–আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দীন।
সভায় ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোবারক হোসেন কাঞ্চনের সভাপতিত্বে ও জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দীন শাহিন ও মনচুর আলম চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন– বিএনপি নেতা সোলাইমান মঞ্জু, আরশাদ হোসেন সেলিম, বদিউল আলম তালুকদার, মহিউদ্দীন আজম তালুকদার, ফরিদুল আলম বিএ, এসএম শফিউল আলম, মোহাম্মদ এমরান, রফিকুল আলম, নাজিম উদ্দীন, আবুল কালাম, তাহের সিদ্দিকী, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৭ বছর আমরা রাস্তায় নামতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি, সন্তানের খোঁজ নিতে পারিনি, তারপরও দেশের মধ্যে ছিলাম, কিন্তু দেশ থেকে আমাদের কেউ পালিয়ে যাননি। অথচ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। দলের সদস্যদের কথা তিনি চিন্তা করেননি। এখন তিনি হিন্দুস্থানে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন, তবে তাদের এ ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ।
উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন বলেন– অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি আপনারা দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করুন। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। এই দলের সমান কোন দল নেই। অনেকে মনে করে জাতীয়তাবাদী দলের বিপরীতে জয়ী হবে, এটা ভুল। উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরওয়ার আলমগীর আরো বলেন– শেখ হাসিনা ভারতের আধিপত্য বাস্তবায়নের জন্য জননেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মেরেছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস শেখ হাসিনার তৈরি সে আদালতে আজ তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। জননেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে হারানোর যে বেদনা আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি সেটি মুছে যাবে যেদিন শেখ হাসিনার ফাঁসি হবে।
এর আগে নেতাকর্মীরা দুপুর থেকে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় কারও হাতে ধানের ছড়া, জিয়াউর রহমানের প্লাকার্ড ছিল। জনসভায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।