জামায়াতে ইসলামী মহানগরী আমির শাহাজাহান চৌধুরী বলেছেন, নবী মুহাম্মদ (স.) যেমন মসজিদের ঈমাম, যুদ্ধের ময়দানেও সেরকম সেনাপতি। রাসূলুল্লাহ (স.) বদর ও ওহুদের যুদ্ধে সিপাহসালার ছিলেন। আজকে রাসুলকে (স.) দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছি। তাঁর যুদ্ধনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি মানতে অনিহা। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশে তৌহিদী জনতা নবীর জীবন আদর্শ থেকে দূরে সরে গেছে।
গত সোমবার ফটিকছড়ির নাজিরহাট ঝংকার মোড়স্থ জারিয়া চত্বরে নাজিরহাট পৌর জামায়াতের উদ্যোগে সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে গত ১৫ বছরে জাহান্নামে পরিণত করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ওপর হাজারো নির্যাতন করলেও আমাদের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। হাসিনা সরকারের কাছে মাথানত না করে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ফাঁসিতে ঝুলেছে। আওয়ামী লীগ কেয়ামতের ফজরেও বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, জুলাই–এর ছাত্র–জনতা বিপ্লবকে নস্যাৎ করার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দোসররা কখনো আনসার হয়ে, কখনো রিকশা চালক হয়ে আবার কখনো ইসকন লীগ হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে।
নাজিরহাট পৌরসভা জামায়াতের সভাপতি বায়েজিদ হাসান মুরাদের সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, উত্তর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা বিএম মফিজুর রহমান আযহারী, বিশেষ ওয়ায়েজ ছিলেন মাওলানা মামুনুর রশিদ নূরী।
ফটিকছড়ি থানা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন ইমু, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট ইসমাইল গনী, অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আলমগীর মুহাম্মদ ইউনুছ, মাস্টার নাজিম উদ্দিন সিকাদার, নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।