হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তি লঙ্ঘন হবে : আইন উপদেষ্টা

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

গুম ও গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বাংলাদেশে ফেরত না পাঠালে তাতে প্রত্যর্পণ চুক্তি লঙ্ঘন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। চিঠি লেখার পর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি, সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সেই ব্যাপারে আমরা বিশ্ব সমাজে কী পদক্ষেপ নেব, সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলছিলেন আইন উপদেষ্টা। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার নামে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারির উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের যা যা করণীয় আছে আমরা করে যাচ্ছি। আরও কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্রবিশেষে চিন্তা করে আমরা অবশ্যই করব। খবর বিডিনিউজের।

বিচারের গতি : এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের গতি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় যথেষ্ট সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়া অলরেডি শুরু হয়েছে। কনভেনশনাল কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আমাদের সম্পূর্ণ পুনর্গঠন করতে হয়েছে। প্রসিকিউটর নিয়োগ, তদন্তকারী নিয়োগ, বিচারক নিয়োগ এমনকি ভবন সংস্কার করাসব কাজ আমাদের করতে হয়েছে। পূর্ণগতিতে বিচার চলছে, বিচারের গতি নিয়ে আমরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট।

আসিফ নজরুল বলেন, আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে আপনারা দেখবেন ঘন ঘন শুনানির ডেট পড়ছে। ঘন ঘন শুনানির ডেট পড়লে যখন আসামিদের নিজের চোখের সামনে দেখি, তখন মনে হয় বিচার হচ্ছে। কিন্তু ‘প্রি ট্রায়াল স্টেজে’ বিচারের গতি আমরা চোখে দেখি না তো। তাই মনে হয় গতিটা শ্লথ, কোনোভাবেই শ্লথ না, আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি।

বিচার দ্রুত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বিতীয় শাখা গঠনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ শেষ হয়ে গেলে আমরা এ কাজটি করব।

সংস্কার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আপনাদের একটা জিনিস ক্লিয়ার করে বলি, সংবিধানের সঙ্গে সংঘর্ষমূলক কোনো সংস্কার আমরা করছি না আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। সংবিধান সংস্কার কমিশন যেটা বলেছে, ওটা সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে, ওগুলোতে আমরা হাত দেব না। সংবিধান সংশোধনের কোনো ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয়ের নাই। আমার শুধু সেই সংস্কারগুলো করছি, যেগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের শক্তি ও সক্ষমতা জড়িত এবং যেগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক ঐক্যমত্য বহু বছর ধরে সমাজে প্রতিষ্ঠিত।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে কী হবে তা সম্পূর্ণভাবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ডিসাইড করবে। নির্বাচনী সংস্কারের কিছু বিষয় আছে, যেটা সংবিধান পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত না। সেটায় যদি রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য পোষণ করে অবশ্যই এ সরকারের আমলে হয়ে যাবে ওটা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাহসুফি বেলায়েত উল্লাহ খানের (রহ.) দাফন সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষায় কেউ দৃষ্টি দিচ্ছে না,কথাও বলছে না : ফখরুল