এবার গ্রেপ্তার করা হয় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া সেই যুবক ফয়সাল মাহমুদকে (৩০)। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সভাপতি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নগরের গোলপাহাড় মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। গত ৯ নভেম্বর শিক্ষাবোর্ডের সামনে ছাত্রলীগ–আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে গত রোববার রাত ৮টার দিকে পাঁচলাইশ পার্কভিউ হাসপাতাল থেকে ফয়সালকে তুলে নিয়ে রাউজানের গহিরায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে আটকে রেখে চাঁদা দাবি করা হয়। পরদিন ৬০ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের পর চকবাজার প্যারেড মাঠে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে গ্রেপ্তার তিনজনসহ পাঁচজনকে আসামিকে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ি, ফয়সাল কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ থানার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের মিয়াজী বাড়ির মো. জসিম উদ্দিন ও পারভীন আক্তার দম্পত্তির সন্তান। নগরের চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী রোডের, কালী মন্দিরের সামনে ডা. কামাল উদ্দিন এর বাসার ৫ম তলায় ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করত। মায়ের দাবি, চার বছর ধরে ছেলে ফয়সাল চট্টগ্রাম শহরে চাকরি করে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, গত ৯ নভেম্বর সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে ষোলশহর ফসিল গ্যাস পাম্পের বিপরীত পাশে মুরাদপুর–২নং গেইটগামী নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি ৬নং রোডের আগে আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেড–এর নির্মাণাধীন ভবনের সামনে পাকা রাস্তার উপর একটি ঝটিকা মিছিল হয়। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, জনসাধারণের ক্ষতি এবং নাশকতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে লাঠিসোটা, ইট–পাটকেল নিয়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মিছিল করে। ওই মিছিলে সরাসরি অংশ নেয় ফয়সাল। এ ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এ দায়ের হওয়া মামলারর তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ফয়সালকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোর্পদ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ফয়সল তার ফেসবুক আইডি’র মাধ্যমে সরকার বিরোধী বিভিন্ন উস্কানিমূলক মন্তব্য ও পোস্ট করে। এছাড়া হোয়াটস অ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন ওয়ার্ড, এলাকা, উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক গ্রুপে যুক্ত থেকেও সরকার বিরোধী কাযক্রম পরিচালনা করে আসছে।












