প্রতিদিন মানুষ কমবেশি অসুস্থতার মধ্য দিয়ে কালাতিপাত করছে। এর মধ্য দিয়ে মানুষ কত হয়রানির শিকারও হচ্ছে। মানুষ অস্বস্তির মধ্যে যখন স্বস্তির খোঁজে শারীরিক ব্যাধির চিকিৎসায় হাসপাতালে পৌঁছায়, তখন অভিভাবকগণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের খপ্পরে পতিত হয়ে হয়রানির শিকার হন প্রতিনিয়ত। প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে এমন অনৈতিক কিছু কর্মকাণ্ড রয়েছে যা সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিতে ফেলে দেয়। ইমার্জেন্সি কোনো এক্সিডেন্ট রোগীর ক্ষেত্রে যে সেলাইয়ের কাজগুলো করা হয়, সে ক্ষেত্রে জমা থাকা কিছু সার্জিক্যাল সুতো দিয়ে সেলাইয়ের কাজ করার পরও পূর্ণ সুতোর দাম হাতিয়ে নেওয়া হয়। অনেক সময় সে সুতোগুলোর মেয়াদ থাকে না। ডেলিভারি রোগীর ক্ষেত্রে যে জিনিসপত্রগুলো অব্যবহৃত হয়, সেগুলোও হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয়। রোগী ও অভিভাবকদের সাথে বজায় রাখা হয় না শালীনতা। রোগীর সুস্থতার পর বাড়ি ফিরতে গুনতে হয় নার্স ও দারোয়ানদের হাদিয়া। আরো একটা বড় সমস্যা হল রোগী গেলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পূর্বেই দিয়ে দেওয়া হয় নানা পরীক্ষা যা বহন করা প্রত্যেকের কাছে সামর্থ্য থাকে না। অতএব, সরকার কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ আবেদন যে, প্রতিটি হাসপাতালে চার্সিং শুরু করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি দূর করুন।
আবদুর রশীদ
সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।