ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল–আহলি আরব হাসপাতালে গত মঙ্গলবার হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার দায় পড়ে ইসরায়েলের ওপর। কিন্তু দেশটি অভিযোগ অস্বীকার করে শান্তিকামী সংগঠন হামাসের ওপর দোষ চাপায়। আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার বন্ধু রাষ্ট্রের ওপর আস্থা রেখে তৃতীয় কোনো পক্ষের’ ওপর হামলার দায় চাপান। এদিকে ন্যক্কারজনক এ হামলা দিয়ে বিশ্ববাসী নিন্দা জানায়। ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড থেকে থার্ড– বহু বিশ্ব নেতা হামলাটি নিয়ে নিন্দা করার পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানায়। কিন্তু তাদের পাত্তা দেয়নি ইসরায়েল সরকার। হামলা চলমান রয়েছে। খবর বাংলানিউজের। প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে শিশু–নারীসহ বহু ফিলিস্তিনির। আহতের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এর মধ্যে আবার ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলো খালি করতে বলছে ইসরায়েলের সামরিক দল, তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতিতে আল–আহলি আরব হাসপাতালে হামলার একটি চিত্র প্রকাশ করেছে চ্যানেল ফোন নিউজ নামে লন্ডনভিত্তিক একটি গণমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমটি হাসপাতালের বিস্ফোরণের ফটোগ্রাফিক ও অডিও প্রমাণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে ওই ঘটনায় ইসরায়েলের বর্ণনার ওপর সন্দেহ সৃষ্টি হয়। হামলার পর নিজেদের সম্পৃক্তরা অস্বীকার করে ইসরায়েল যে বক্তব্য দিয়েছিল– বিস্ফোরণের শব্দ বিশ্লেষণ করে সেই বক্তব্যের কোনো মিল পায়নি সংশ্লিষ্টরা। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনাটি তদন্তে বিশেষায়িত এনজিওগুলো একটি কনসোর্টিয়াম পরিচালনার মাধ্যমে অডিও বিশ্লেষণ করে। তারা জানান, বিস্ফোরণের ঠিক আগে একটি ভিডিওতে যে শব্দ শোনা গেছে, সেটি দক্ষিণ–পশ্চিম গাজা থেকে নিক্ষেপ করা ফিলিস্তিনি রকেটের গতিপথের সঙ্গে বেমানান ছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কথিত হামাস কর্মকর্তাদের মধ্যে কথোপকথনের রেকর্ডিংসহ একটি ভিডিও প্রকাশ করে।
ভিডিওটিতে একটি রকেট মিস ফায়ারের কথা উল্লেখ করা হয়, যেটি আল–আহলি আরব হাসপাতালে আঘাত করেছিল বলে ইসরায়েলি সেনাদের দাবি।
ইয়ারশট নামে একটি অডিও তদন্ত গ্রুপ ওই অডিওর তদন্ত করে।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ফরেনসিক সাউন্ড বিশ্লেষণ করেছে দেখা যায় অডিওটি দুটি পৃথক চ্যানেলে রেকর্ড করার পর একসাথে জুড়ে দেওয়া। হাসপাতালে হামাস হামলা করেছে তা প্রমাণ করতে এই অডিওটি কোনো নির্ভরযোগ্য উত্স হতে পারে না।












