‘হাসপাতালে সন্তান প্রসব করান, মা ও নবজাতকের জীবন বাঁচান’–এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ দেশব্যাপী হবে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে আজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।
গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে কোনো নারীর প্রাণহানি ঘটলে তা মাতৃমৃত্যু বলে বিবেচিত হয়। গর্ভধারণজনিত জটিলতার কারণে প্রসবকালে এবং প্রসব পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে মারা গেলে সেটিকে মাতৃমৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একজন নারীকে সন্তান গর্ভধারণের আগে থেকে প্রসব পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হয়। প্রসবপূর্ব সেবার প্রথম ধাপে যত মা সেবা নেন, তার তুলনায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে সেবা নেয়ার হার অনেক কমে আসে। জানা গেছে, আমাদের দেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। এরপর থেকে নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার কমানো ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ২৮ মে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে এ বিষয়ে অনুমোদন দিলে পরের বছর থেকে দেশব্যাপী দিবসটি পালন শুরু হয়। পরে ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ উদ্যোগ টেকসই উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত করে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অধ্যক্ষ ও চমেক হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাহেনা আকতার দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমেছে। বর্তমানে প্রতি এক লাখে ১৫৬ জন মা প্রসবকালীন কিংবা প্রসব পরবর্তী জটিলতায় মারা যান। তবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মাতৃমৃত্যু রোধ করার জন্য বাসা কিংবা বাড়িতে সন্তান প্রসব না করিয়ে হাসপতালের সন্তান প্রসব করানোর তাগিদ দিচ্ছি আমরা। কারণ হাসপাতালে জটিলতা দেখা দিলে, সেটি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া যায়।