ছেলে রাজ্যর অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালবাস চলছে পরীমনির। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছে ঢাকাই সিনেমার দম্পতি জুটি শরিফুল রাজ ও পরীমনির সন্তান রাজ্য। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ছেলেকে নিয়ে আলাদা আলাদা করে ছবি, ভিডিও পোস্ট করে নিজেদের মনের কথা জানিয়েছেন গত কয়েক মাস ধরে আলাদা থাকা এ দুই তারকা। মঙ্গলাবার রাতে পরীমনি ছেলের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ফেইসবুকে লিখেছেন, আমার পদ্মফুল আজ ভালো আছে। সুস্থ হয়ে উঠেছে বেশ। কতদিন পর আজ আম্বার সাথে সে একটু দুষ্টু দুষ্টু খেলেছে। শুকরিয়া।
হাসপাতালে সন্তানের পাশে না থাকলেও ছেলের জন্য যে ‘মন খারাপ’, তা ফুটে উঠেছে রাজের ফেইসবুক পোস্টে। তিনি লিখেছেন, খোকা! নিস্তব্ধতায় তোমার শ্বাস আমার অনেক প্রিয়। তোমাকে চুমু খেতে খুব ইচ্ছে করছে, তোমার স্পর্শ আর ঘ্রাণ চোখটা বন্ধ করলেই মগজে টের পাই। বাবা তোমাকে অনেক মিস করছে অনেক। ওই পোস্টে পরীমনির প্রতিও ভালোবাসার ইঙ্গিত দিয়ে ছেলেকে উদ্দেশ্য করে শরিফুল রাজ বলেন, আম্ব‘কে একশ কোটি চুমু দিয়ো। ভালোবাসার ইমোজি দিয়েই পোস্ট শেষ করেন রাজ। খবর বিডিনিউজের। গত ১৪ জুলাই থেকে প্রায় প্রতিদিন ছেলের অসুস্থতার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে আসছেন পরীমনি। তাকে যে একা একা অসুস্থ সন্তান সামলাতে হচ্ছে, সে কথাও পোস্টে লিখেছেন এই নায়িকা। পরীকে ‘আম্বা’ বলে ডাকে রাজ্য। সেই আম্বা ডাকের ব্যাখ্যাও পাওয়া যায় পরীমনির পোস্টে।
পরী বলেন, আমি জানি, তুমি আমার স্ট্রং বয়। মায়ের সমস্ত বিশ্বাস জুড়ে থেকো। আর আমাকে আম্বা বলেই ডেকো। আমি জানি এই আম্বাটা কি। আমি তোমার আম্মাও, আব্বাও। বাচ্চা আমার, আমি তো এই দিনগুলোর জন্যে প্রস্তুত ছিলাম না। বর্তমানে সংসার থেকে আলাদা থাকা রাজের প্রতি উষ্মাও প্রকাশ করেছেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা। গত কয়েকদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলেকে নিয়ে রাজের কোনো পোস্ট আসেনি। রাজ হাসপাতালে ছেলেকে দেখতে গিয়েছেন, এমন খবরও সংবাদমাধ্যমে আসেনি। বাকবিতণ্ডার জেরে পরীমনি ও রাজ একে অপরকে ছেড়ে আলাদা থাকছেন মে মাসের শেষ থেকে। এর মধ্যে গত ১০ জুন ছেলে রাজ্যের ১০ মাস পূর্তিতে রাজ ও পরীমনি বাড়িতে ঘরোয়া আয়োজনে একসঙ্গে হয়েছিলেন। ওই আয়োজনের ছবি দেখে অনেকের ধারণা হয়েছিল ঝামেলা মিটিয়ে বুঝি একসঙ্গে থাকছেন তারা। তবে পরীমনি সে সময়ে তার ফেইসবুক পেইজে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে লিখেছিলেন, শুধু ছেলে রাজ্যর পৃথিবীতে আসার দিনটি তারা দুজন মিলে উদযাপন করেছেন, যা আগামীতেও করবেন। এবং এক্ষেত্রে তাদের জীবনের অন্যান্য বিষয় টেনে আনা হবে না।