হাসপাতালটিই শুধু আছে আর কিছু নেই

সাত বছর ধরে অনুপস্থিত চিকিৎসক

টেকনাফ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৭:০১ পূর্বাহ্ণ

সেন্টমার্টিন দ্বীপে আছে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। কিন্তু নেই চিকিৎসাসেবা। নেই প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। মেডিকেল অফিসার থাকার মতো আবাসিক সুযোগ-সুবিধা নেই। এ অবস্থায় সাত বছরের বেশি সময় ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন সেন্টমার্টিনে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন। তিনি ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট টেকনাফে যোগদান করে সাত দিনের ছুটি নিয়ে এ পর্যন্ত অনুপস্থিত রয়েছেন। বিনা অনুমতিতে এতদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেননি সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ১৩ দিনের বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন ডা. মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন। এরপর বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ পর্যন্ত উক্ত পদে নতুন নিয়োগও বন্ধ রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, একজন ডাক্তার ও একজন স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে সেন্টমার্টিনের চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। এছাড়া প্রয়োজনে টেলিমেডিসিন সেবাও দিয়ে যাচ্ছি টেকনাফ সদর থেকে।
জানা যায়, সেন্টমার্টিনের লোকসংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করে প্রতি বছর প্রায় ১২ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক। কোনো পর্যটক অসুস্থ হলে চিকিৎসা পাওয়ার উপায় থাকে না।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনের পর তিনজন চিকিৎসক, ছয়জন নার্স, দুজন ল্যাব টেকনিশিয়ান, দুজন ফার্মাসিস্ট, ছয়জন ওয়ার্ডবয়, চারজন এমএলএসএস, তিনজন আয়া, একজন পিয়ন, একজন স্টোরকিপার ও চারজন ঝাড়ুদার নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিনের মাথায় সবাই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। হাসপাতালে ৭৪ লাখ টাকার একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি অকেজো হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সেন্টমার্টিন যেন চিকিৎসকশূন্য না থাকে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিন যুবক নিখোঁজ এক মাস ধরে
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা