নগরীর হালিশহর নয়া বাজার মোড় এলাকায় ছয় দিন আগে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত কলেজছাত্র ওয়াহিদুল হক সাব্বিরের মৃত্যু হয়েছে। তিনি শ্যামলী পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সাব্বির হালিশহরের মধ্যম রামপুর এলাকার মো. ইসহাকের ছেলে। এর আগে গত শুক্রবার বিকালে নয়াবাজার মোড় এলাকায় এক বন্ধু সাব্বিরকে ডেকে নেন। পরে ওই বন্ধু সেখান থেকে চলে যান। এর মধ্যে কয়েকটি অটোরিকশা করে এসে কিছু লোক সাব্বিরের উপর হামলা করে। ছুরিকাঘাতের পাশাপাশি তাকে বাটাম দিয়েও পেটানো হয়। এতে গুরতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা সাব্বিরকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। মূলত দুই কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বের জেরে কলেজছাত্র সাব্বিরের উপর এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, শ্যামলী পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বিরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তারও করে। তার নাম মিনহাজুল ইসলাম শাওন। ঘটনায় জড়িত বাকীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ আরো জানায়, সাব্বির ও হামলাকারীদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সাব্বিরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হালিশহর থানার উপপরিদর্শক স্বপন কুমার সরকার বলেন, স্থানীয় ‘পাইথন’ ও ‘বিঙ্গু’ গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে সাব্বিরের উপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। সাব্বির ‘বিঙ্গু’ গ্রুপের সদস্য। ঘটনার কিছুদিন আগে সাব্বির পাইথন গ্রুপের এক সদস্যকে মেরেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ ছিল পাইথন গ্রুপ।
ছুরিকাঘাতের শিকার সাব্বির মৃত্যুবরণ করেছেন জানিয়ে হালিশহর থানার ওসি মনিরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, আমরা ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃত ছুরিকাঘাতের কথা শিকারও করেছেন। ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিষয়ে তথ্যও দিয়েছেন। আদালতের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে মিনহাজুল ইসলাম শাওন বলেছেন, সাব্বিরের সাথে তাদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। এজন্য হামলা করা হয়েছে। ওসি বলেন, মামলাটিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ঘটনায় জড়িত বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।