নগরবাসীর চরম ভোগান্তি চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকার রাস্তাঘাটের বর্তমান অবস্থা একেবারেই করুণ। দীর্ঘদিন ধরে চলা ওয়াসার পাইপলাইন ও স্যানিটারি লাইনের কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি, অথচ রাস্তা কেটে ফেলার পর সেগুলো আগের মতো পুনঃনির্মাণ করা হয়নি। ফলে প্রতিটি মোড় ও গলিতে এখন গর্তের পর গর্ত, কোথাও পানি জমে থাকে, কোথাও ধুলাবালি উড়ে চারপাশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে আছে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে কাদা–পানিতে রাস্তা পার হওয়া যেন দুর্ভোগের চূড়ান্ত রূপ নেয়। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু আজও তাদের কণ্ঠস্বর যেন অনুনয়ের মধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় দেখা গেছে, খোঁড়া রাস্তার পাশেই খোলা পাইপ পড়ে আছে, যা শুধু দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে না, বরং এলাকাবাসীর দৈনন্দিন জীবনকেও অসহনীয় করে তুলছে। স্কুলগামী শিশু, অফিসগামী মানুষ থেকে শুরু করে রিকশা ও মোটরযান চালক। সবাইকে এই ভাঙাচোরা রাস্তায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিদিন। নগরের এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শহরের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের জীবনে বেড়ে চলেছে সময়ের অপচয়, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং মানসিক ক্লান্তি। ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশন উভয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। হালিশহরের মানুষ এখন অপেক্ষায় আছে, কবে তাদের এই দুর্ভোগের অবসান ঘটবে, কবে তারা আবার ধুলোবালিমুক্ত, মসৃণ রাস্তায় নির্বিঘ্নে চলতে পারবে।
রাহাত শাহরিয়ার ফাহিম
শিক্ষার্থী,
আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।












