হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে অংশীজনের উদ্বুদ্ধ করণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি হাটহাজারীর উত্তর মার্দাশা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়ে) মৎস্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এই সেমিনার আয়োজন করে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, হালদা নদী দেশের জাতীয় সম্পদ, এই নদী প্রতি বছর দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অর্থের যোগান দিয়ে থাকে। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ নদী রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। দূষণ রোধের মাধ্যমে এই নদীর অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাছাড়া নদী থেকে মাছ চুরি রোধ করে ডিমের উৎপাদন বাড়িয়ে ডিম সংগ্রহকারীদের ডিম সংগ্রহে আগ্রহ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। হালদা নদীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার ইতিমধ্যে ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নদী সংরক্ষণের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়) চট্টগ্রাম জেলার প্রকল্প হ্যাচারি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা রনি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাসিম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লূৎফন নাহার শারমীন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুজন কাননুনগো, উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, মডেল থানা উপ–পরিদর্শক অরুন কুমার চাকমা। সেমিনারে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে প্রস্তাবনা মূলক বক্তব্য রাখেন কেশব কুমার বড়ুয়া, খোরশেদ আলম শিমুল জাহেদ মঞ্জু, মো বোরহান উদ্দীন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মো. লিয়াকত আলী, ডিম সংগ্রহকারীদের পক্ষে মো. কামাল উদ্দীন সওদাগর, মোহাম্মদ ইলিয়াস, আশু বড়ুয়া, মো. শফিউল আলম, মোহাম্মদ হোসেন, কামাল উদ্দীন, প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী আবু তালেব, মোহাম্মদ শহীদুল আলম ও মোহাম্মদ ইকবাল প্রমুখ।