হালদা নদীতে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে ৩২ বিশিষ্ট আইনবিদের বিবৃতি

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ১০:১৭ অপরাহ্ণ

হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়ির গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল সাবেক বৃহত্তর গুমানমর্দন এলাকার নাঙ্গলমোড়া বাজার সংলগ্ন (বহরম মাঝির ঘাট) হালদা নদীর পূর্ব – পশ্চিম পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ৩২ জন বিশিষ্ট আইনবিদ।

হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগস্থলে পীরে কামেল হযরত মঈজুদ্দিন শাহ্ আল ফারুকির (র) নামে একটি সংযোগ ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়রা দীর্ঘদিনের।

স্থানীয় এলাকার এসব কৃতী আইনজীবীগণ বিবৃতিতে আরও বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি প্রতিবছর স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করে বহু কষ্টে জনসাধারণের পারাপারের ব্যবস্থা করে থাকেন। বর্ষায় খরস্রোতা হালদার জোয়ারে বাঁশের সংযোগ ব্রিজটি ভেঙে যায়, প্রায় সময় মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে উভয় তীরের মানুষকে নৌকা পারাপার করতে হয়। সরকারের আধুনিক উন্নয়নের রোল মডেল থেকে বাদ পড়া এলাকাটির হাজার নর-নারী, শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ীসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনে উভয় তীরের হাজার হাজার আবালবৃদ্ধবনিতা দীর্ঘপথ অতিক্রম করে নিজ নিজ এলাকা থেকে যাতায়াত করতে হয়। অথচ একটি ব্রিজের অভাবে তিনটি থানা ও উপজেলার সম্ভাবনাময় এলাকাটির উন্নয়ন থমকে আছে।

অত্যন্ত অবহেলার শিকার এলাকাটি আধুনিক উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত ও অন্ধকার হয়ে আছে। স্বাধীনতা যুদ্বকালীন সময়ে এলাকাটি ছিল মুক্তি যোদ্ধাদের প্রাণ, মুক্তি যোদ্ধাদের গ্রাম ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশাল অবদান রাখা সত্বেও হালদার তীরের একটি বিশাল জনপদ ও সম্ভাবনাময় এলাকাটি একটি ব্রীজের অভাবে অন্ধকার হয়ে আছে। এ ব্রিজ হালদার উভয় তীরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে সংযোগ ও যোগাযোগে বিশেষ ভূমিকা রেখে আলোকিত করবে, আর খুলে দেবে অপার সম্ভাবনার দ্বার । স্বাধীন বাংলাদেশের অর্ধ শত বছর পেরিয়ে গেছে, আজো হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান বাসীর প্রাণের দাবী নাংগলমোড়া বাজার সংলগ্ন হালদা ব্রীজটি নির্মিত হয়নি। জনপ্রতিনিধিরাও নির্বাচনী ওয়াদা রাখতে পারলেন না। ফলে বর্ষা মৌসুমে উভয়পারের যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।

হালদা নদীর স্রোতে নৌকা ডুবিতে প্রায় সময় হতাহতের ঘটনা ঘঠে । স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী, চাষাবাদ এবং দৈনন্দিন কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার মানুষগুলোর দুর্ভোগ চরমে । সামান্য পথ হয়ে যায় কয়েক মাইল দূরত্বের । অথচ একটা ব্রিজ এখানে হতে পারে তিন থানার মিলন মোহনা ।

বিবৃতিদাতারা এ ব্যাপারে উভয় পাড়ের এমপি (সাংসদ) ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন ।

বিবৃতিদাতারা হলেন- এডভোকেট মোহাম্মদ নুরুল আমীন (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান), এড.এ এফ এম মইনুদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, এড. শফিউল মোরশেদ চৌধুরী, এড. মনিরুল আলম, এড. জহিরুল আলম, এড. আব্দুল মান্নান, এড. জান্নাতুন নাঈম রোমানা, শাহীন হাসান চৌধুরী, এড. নাসিমা বেগম, মোহাম্মদ শাহজাহান, এড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, ব্যারিস্টার সাজিদ মাহমুদ, ব্যারিস্টার সামিরা মাহমুদ, মোঃ তসলিম উদ্দিন, এড. হুমায়ুন কবির এম ফিল, এড. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, এড. সোহাইল আহমদ, এড. ওসমান জাবেদ, এড. মোহাম্মদ শফিউল আজম, অ্যাডভোকেট তুষার কান্তি মু্ৎসুদ্দী, এড. সূচয়ন মুৎসুদ্দী, এড. তসলিমা বেগম আইরিন, মোস্তফা আনোয়ারুল ইসলাম, এড. আবু মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ, এড. মোহাম্মদ মিজান উদ্দিন, ক্লিনটন মুসদ্দি, মেহেদী হাসান রিয়াদ, মোহাম্মদ তাওসিফ আমীন, এড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন (আরমান), মোঃ সাফির হাসান, এড. ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বনবিভাগের জায়গায় নির্মাণাধীন পাকা ঘর উচ্ছেদ
পরবর্তী নিবন্ধজশনে জুলুসে যানবাহন চলাচলে নির্দেশনা