দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির মিঠাপানির ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নদীর রাউজান অংশের আজিমের ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
এটির দৈর্ঘ্য ৪৫ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় সাড়ে ১৩ কেজি। এটিসহ চলতি বছরে তিনটি ডলফিন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ডিম আহরণকারীরা। তাছাড়া ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত হালদা নদী থেকে ৪২টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মৃত ডলফিনটি ভূড়ি বের হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে যান্ত্রিক নৌযানের পাখার আঘাতে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে। হালদা পাড়ের ইটভাটাগুলোর ব্যবহৃত যান্ত্রিক নৌযান বন্ধের দাবি জানানো হয়।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, হালদা নদীর শাখা খালগুলোর দূষণের ফলে ডলফিন মারা যেতে পারে। হালদা জলজ বাস্তুতন্ত্রকে মাছ, ডলফিন ও অন্যান্য প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করতে দূষনসহ সবধরনের ধংসাত্মক কর্মকান্ড বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, নদীতে মৃত ডলফিন ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ফোন দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধগলিত অবস্থায় মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। আমার ধারণা কর্ণফুলি নদীর জাহাজ অন্যান্য নৌযানের তেলের দূষণের কারণে মৃত্যু হতে পারে। হালদার মা মাছ, ডলফিন বা নদীর পরিবেশ রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত জনবল এবং নিজস্ব নৌযান নেই। এসব ব্যবস্থা করা গেলে হালদা সুরক্ষায় কাজ করতে সহজ হবে।