চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নিজ এলাকায় ফিরেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নস্থ নিজ বাসভবনে পৌঁছালে দলীয় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে বরণ করে নেন।
এরপর প্রয়াত পিতা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরী সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
পরে বাঁশখালীর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বুলবুল, সাবেক বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত জামান দুলাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব আমিনুর রহমান চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মাষ্টার লোকমান আহমদ, সদস্য সচিব রেজাউল হক চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মুবিনুর রহমান চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল কাদের চৌধুরী, নুরুল আলমসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ঐক্যের বার্তা দিয়ে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে পাপ্পা বলেন, আজ থেকেই আমাদের নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করছি। জিয়ারত করেই আমরা আমাদের ইলেকশন ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। তিনি আরও বলেন, বাঁশখালীতে অতীতে বিভিন্ন গ্রুপিং থাকলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এখন থেকে আর কোনো গ্রুপিং থাকবে না। সবাই ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা জানান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন,বাঁশখালীর প্রতিটি মানুষকে আমার প্রয়াত পিতা মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দেবেন। আমাদের লক্ষ্য একটাই—বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন; যতক্ষণ পর্যন্ত তা না হয়, আমাদের সংগ্রাম চলবে।বিএনপির প্রবীণ নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পাপ্পা বলেন, মুরুব্বীদের সুযোগ করে দিন; তাদের দোয়াতেই আমি আজ এই মঞ্চে দাঁড়াতে পেরেছি।শেষে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন থেকে বাঁশখালীর মাটিতে আর কোনো গ্রুপিং থাকবে না—সবাই মিলে দলকে শক্তিশালী করে সামনে এগিয়ে যাব।












