হালদার মুখে রাতে জাল শুকানো হয় দিনে

রাউজান প্রতিনিধি | সোমবার , ১০ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

নদীতে নৌ পুলিশের নজরদারির মধ্যেও প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর সংযোগ স্থলে প্রতিনিয়ত পাতা হচ্ছে নানা ধরনের জাল। কালুঘাট ও মোহরা এলাকায় বসবাসকারী মৎস্যজীবীরা রাতে নদীতে জাল পেতে মাছ শিকার করে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। মোহরাকালুরঘাট এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় ভাটির সময় নদীর কিনারায় নোঙর করে রাখা ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকার উপর স্তরে স্তরে রাখা আছে নানা ধরনের জাল। দেখা গেছে, ব্যবহার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালও। দুপুরে কালুরঘাট জেলেপাড়ার মুখের একটি ব্রিজের রেলিংয়ে সারি সারি জাল রোদে শুকাতে দেখা গেছে।

মাছের প্রজনন মৌসুমে এখানে নদীতে জালপাতার পাশাপাশি বালু ভর্তি বড় যান্ত্রিক নৌযান কিনারায় রেখে লম্বা পাইপে দুই কিলোমিটার দূরের বালু টেনে নেয়া হচ্ছে কৃষিজমি ভরাট কাজে। খবর নিয়ে জানা যায় মোহরাকালুরঘাট এলাকায় তৎপর একটি অসাধু চক্র বিভিন্নস্থানে বালু সরবরাহ দিচ্ছে। নদীতে বালুভর্তি বার্জ (বড় যান্ত্রিক নৌকা) রেখে দুই কিলোমিটার লম্বা পাইপ টেনে কৃষি জমি ভরাট করা হচ্ছে। জানা যায়, হালদার চর থেকে বালু এনে এ কাজে বালুর যোগান দেয়া হচ্ছে। নদীতে জাল পাতা প্রসঙ্গে জেলেপাড়ার কয়েকজন নারী দাবি করেনছোট মাছ ধরতে জালপাতা হয় কালুর ঘাটের আশেপাশে। জাল নিয়ে কেউ হালদার দিকে যায় না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেছেন নদীতে রাতের বেলায় জাল পেতে বড় মাছ শিকার করা হয়।

হালদা গবেষক চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে রাতে দুর্বৃত্তদের জালপাতার সংবাদ বিভিন্ন সময় পাওয়া যায়। হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জব্দও করে জাল। এছাড়া নৌ পুলিশের টহল টিম নদীতে অভিযান চালায়। তবু বেপরোয়া নদীর মাছ চোরের দল। প্রজনন মৌসুমে জালপাতার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার পক্ষে মত দেন এই বিশেষজ্ঞ। কালুরঘাট মোহরা এলাকায় নদীতে জালপাতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সদরঘাট নৌ থানার ওসি মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ দাবি করেন তারা প্রতিনিয়ত হালদা কর্ণফুলীতে অভিযান চালাচ্ছেন। তিনি পরামর্শ দেন নদীতে জাল দেখলে সাথে সাথে জানাতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওসমানী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছেন
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬