প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে গত এক সপ্তাহে ৬টি ব্রুড মাছ এবং ২টি ডলফিন মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের লক্ষ্যে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে ১২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের কাতলা ব্রুড মাছটির ময়না তদন্ত করা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। ময়না তদন্তের কাজে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিসিএসআরআই এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি। আরো উন্নততর পরীক্ষার জন্য মাছটির নমুনা বাংলাদেশের বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।
একই সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, বিভিন্ন দপ্তর এবং গবেষণা সংস্থা সমূহের সমন্বয় সভা গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, হালদা প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট রাঙামাটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিসিএসআইআর এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, এবং রাউজানের উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাবৃন্দ, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, হালদা প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় দূষণের কারণেই হালদায় মাছ ও ডলফিনের মৃত্যু ঘটছে বলে গবেষকরা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া আরো জানান, নদীর দূষণ রোধ কল্পে গঠিত কমিটিকেও তিনি বিভিন্ন প্রস্তাবনা দেন কি কারণে মাছ ও ডলফিন মারা যেতে পারে তার কারণ উদঘাটনে।
এদিকে হালদা নদীর দূষণ রোধ কল্পে গতকাল নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এ কে জাহেদ চৌধুরী, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী, কাউন্সিলর মো. সোলেমান নাজিরহাট আদর্শ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. নাসির উদ্দীন, সহকারী প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া ও নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল আবসার নদীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।