মাত্র ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমে যায়। গতকাল বুধবার দুপুরে ঘন্টা খানেকের বৃষ্টিতে নগরীর নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে থেমে থেমে চলা বৃষ্টিতে গরমের তীব্রতা কমলেও মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতে নাকাল হয়েছে নগরবাসী।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুমন সাহা জানান, আরো দুদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক অবস্থা বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বছরের এই সময়টাতে কালবৈশাখীর প্রভাবে ঝড়–বৃষ্টি হয়। আগামীকাল (২৬ মে) দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা দেয়। হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। তবে গতকাল বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির গতিও বাড়ে। বেলা ১২টার পর ঘন্টা খানেক বেশ ভারী বৃষ্টি হয়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র বলেছে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল বুধবার বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আর এই ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই মূলত নগরীর নিম্নাঞ্চলের রাস্তায় পানি জমে যায়। বৃষ্টিতে নগরীর ষোলশহর, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, ডিসি সড়ক, পাঠানটুলী, বাকলিয়া, ছোটপুল, বড়পোল, আগ্রাবাদ বেপারি পাড়া, কমার্স কলেজ রোড, মহুরিপাড়া, সিডিএ আবাসিক, আতুরার ডিপোসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোথাও গোড়ালি সমান আবার কোথাও কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বৃষ্টির মধ্যে পানি মাড়িয়ে পথচারী, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম নাকাল হতে দেখা গেছে। রিঙা এবং টেঙিভাড়া দুই তিনগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে হাঁকা হয় এই সময়। রাস্তায় রিঙা টেঙিসহ যানবাহন চলাচলও কমে যায়। বিকেলের দিকে বৃষ্টি কমে গেলে নগরীর যেসব এলাকার সড়কে পানি জমেছিল তা নেমে যায়।












