হার দিয়ে বিপিএল শুরু চিটাগাং কিংসের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ১ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই রানের বন্যা বইয়ে যাচ্ছে। প্রথম দিনে ১৯৮ রান টপকে গেছে বরিশাল। একই দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেও হয়েছে দুইশর কাছাকাছি রান। গতকালতো দুইশ পার হয়ে গেল। রান বন্যার বিপিএলে জয় দিয়ে শুরু করতে পারল না দীর্ঘ সময় পর ফেরা চিটাগাং কিংসের। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের কাছে ৩৭ রানে হেরেছে চিটাগাং কিংস। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে কিংসের হয়ে একাই লড়াই করলেন শামীম হোসেন। তার ৩৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংসটি কেবলই লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছে চিটাগাং কিংসকে। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইগার্স ৩৭ রানে হারায় ওপেনার নাঈমকে। ২৬ রান করা এই ওপেনার ফিরেন আলিস ইসলামের বলে । তিনে নেমে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও ভালো কিছু করতে পারেননি। ১৮ বলে ১৮ রান করে খালেদ আহমেদের বলে ফিরতে হয় তাকে। পরে ইব্রাহীম জাদরানকেও তুলে নেন খালেদ। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই ফিফটি তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার উইলিয়াম বোসিস্কো। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে খেলতে পারছিলেন না হাতখুলে। তাকে সেই সুযোগটি এনে দেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি গড়েন তারা। যদিও সেই জুটিতে বেশি ভয়ানক দেখা গেছে অঙ্কনকেই। মাত্র ১৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে ৫০ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৭৫ রান আসে বোসিস্তোর ব্যাট থেকে। আর তাদের দল পৌছে যায় ২০৩ রানে। চিটাগাং কিংসের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন খালেদ ও আলিস।

২০৩ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই অভিজ্ঞ নাঈম ইসলামকে হারায় চিটাগাং। ৯ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন তিনি। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৮ বলে ১৩ রান করে তিনি শিকার হন আবু হায়দার রনির। ব্যাট হাতে ব্যর্থ অধিনায়ক মিথুনও। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। তিনে নামা ওসমান খান করেন ১৫ বলে ১৮ রান। পাকিস্তানি হায়দার আলি রানের খাতাও খুলতে পারেননি। সপ্তম উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ ওয়াসিম যখন ফিরেন কিংসের রান তখন ৭ উইকেটে ৬৭। পরাজয় কেবলই তখন সময়ের ব্যাপার। ঠিক তখণই ঝড় তোলেন শামীম হোসেন। তার এক একটা শট কিংসের পরাজয়ের ব্যবধান কমাচ্ছিল। এক পর্যায়ে যেখানে বিশাল হারের প্রহর গুনছিল চিটাগাং কিংস সেখানে শামীম একাই দলকে টেনে নিয়ে ৩৭ রানে হেরেছে। শামীম ফেরার তিন বল পরই অল আউট হয় চিটাগাং কিংস। তবে ধ্বংসস্তুপের উপর দাড়িয়ে ৩৮ বলে ৭টি চার এবং ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৭৮ রান করে ফিরেন শামীম। ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। খুলনা টাইগার্সের পক্ষে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় খেলা ১১ জানুয়ারি
পরবর্তী নিবন্ধকোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ৪ জানুয়ারি