আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলার দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশের যে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা জেগেছিল, তৃতীয় দিন শেষে সেই চিত্র পাল্টে যায় পুরোপুরি। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসের বড় ব্যবধান ঘুচিয়ে উল্টো শতরানের লিড নেয় আয়ারল্যান্ড।
কিঞ্চিৎ হলেও উঁকি দেয় অঘটনের শঙ্কা। তবে স্বাগতিক শিবিরে জয় নিয়ে কোনোরকম দুর্ভাবনা ছিল না বলে জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে শুরুতেই ৪ উইকেট হারানো
আইরিশদের প্রতিরোধ চতুর্থ দিন সকালে আর বেশিক্ষণ টেকেনি। গতকাল শুক্রবার প্রথম সেশনে ৩৫ মিনিটের মধ্যে ৯ ওভারে ৬ রান তুলতেই আয়ারল্যান্ড হারায় নিজেদের শেষ ২ উইকেট। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৮ রানের। রান তাড়ায় মিরপুরের রেকর্ড তেমন সমৃদ্ধ নয়। বাংলাদেশের রেকর্ড আরও
নাজুক। টেস্টে এই ম্যাচের আগে রান তাড়ায় তাদের জয় ছিল মাত্র চার ম্যাচে। এর মধ্যে দেশের মাটিতে একটি। আর সেটি মিরপুরে। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০১ রান তাড়া করতেও ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। একে তো অতীত রেকর্ড ভালো নয়। তার ওপর আয়ারল্যান্ডের দারুণ প্রত্যাবর্তন। বিপদের
শঙ্কা ছিলই। তবে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, দলের মধ্যে কোনো দুর্ভাবনাই ছিল না। হারের শঙ্কাটা ছিলই না। টেস্ট ক্রিকেটে যেটা হয়, অনেক সময় থাকে ঘুরে দাঁড়ানোর। ওয়ানডেতে একটু কম। টি–টোয়েন্টিতে খুবই কম। সেদিক থেকে কখনোই কারও মাথায় হারের ওই চিন্তা আসেনি। গত
বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ড ভালো খেলেছে। আমি বলব এটা তাদের জন্য ভালো দিক। ওরা অনেক লড়াই করেছে। যেটা শুরুর দিকে আমরা হয়তো প্রত্যাশা করিনি। কিন্তু ওরা সংস্কৃতিগত দিক থেকেই অনেক লড়াকু মনোভাবের। সেটাই ওরা দেখিয়েছে। সাকিব মনে করেন বাংলাদেশ দলে হারের শঙ্কা না থাকলেও,
জয়ের স্বপ্ন মনে নিয়েই হয়তো শুক্রবার মাঠে এসেছিল আয়ারল্যান্ড। সাকিবের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি। কিছুটা হতাশা নিয়ে বললেন, লিড আরেকটু বেশি হলে ম্যাচের চিত্রনাট্য হয়তো অন্যরকমও হতো। তিনি বলেন অবশ্যই আমরা জয়ের সুযোগ দেখেছি। উইকেট খুব ভালো ছিল। আমার
মতে, চতুর্থ দিন সকালে এবাদত হোসেন খুব ভালো বোলিং করেছে। স্টাম্পে আক্রমণ করেছে। আমাদের ১৮০–১৯০ রানের লিড এনে দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। এরপর কী হতে পারত কেউ জানে না।












